- শিক্ষা
- বোলাররাও তাকিয়ে ব্যাটারদের দিকে
বোলাররাও তাকিয়ে ব্যাটারদের দিকে

ছবি: বিসিবি
টি২০ ম্যাচ জেতানোর মতো একক কোনো পারফরমার নেই বাংলাদেশের। একসঙ্গে জ্বলে উঠলে তবেই না ম্যাচ জেতে। ২০২১ সালের টি২০ বিশ্বকাপ থেকেই দল হিসেবে ভালো করতে পারছে না মাহমুদউল্লাহরা।
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ওমান, পাপুয়া নিউগিনির মতো দলের বিপক্ষে জিততেও তাই ঘাম ছুটেছিল। বাংলাদেশ দলের সেই ছন্নছাড়া ভাবটা এখনও যে কাটেনি। এক বিভাগ ভালো করলে অন্য বিভাগ এলোমেলো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বোলাররাই যা একটু ভালো করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত ম্যাচে সেই বোলিংও ছিল খরুচে। গায়ানার ব্যাটিং স্বর্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটাররা আরও কঠিন পরীক্ষার মুখে ঠেলে দিতে পারেন মুস্তাফিজদের। বাঁহাতি এই পেসার আগেই তাই ব্যাটারদের কাছে বড় পুঁজি চেয়ে রেখেছেন।
ডমিনিকায় ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৯৩ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রভম্যান পাওয়েল ২৮ বলে ৬১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেই ম্যাচের বাঁক বদলে দেন। তাসকিন, সাকিব, মুস্তাফিজদের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে দেন তিনি। সাকিবের সুযোগ ছিল রভম্যান হয়ে ওঠার। সেট হওয়ার পরও তা পারেননি তিনি। যোগ্য সঙ্গী পেলে হয়তো ঝুঁকি নিতেন।
মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের কেউই স্বাগতিক বোলারদের সাহস নিয়ে মোকাবিলা করতে পারেননি। গায়ানায় সিরিজের শেষ ম্যাচে তাই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চান না ব্যাটাররা। শেষ সুযোগ কাজে লাগাতে চান সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে। একদিন আগে মুস্তাফিজ ব্যাটারদের মনে করিয়ে দিয়েছেন জিততে হলে উইন্ডিজে কত রান করতে হয়, 'এশিয়ার ভেতরে দেখবেন, অন্য দলের ১৫০ রান করতেও কষ্ট হয়। এশিয়ার বাইরে ২০০ রান করলেও নিরাপদ নয়। এই কারণে রান বাড়তে পারে। আমার যেটা মনে হয়।'
লিটন কুমার দাস টেস্ট এবং ওয়ানডেতে ভালো খেললেও টি২০ খেলাটা এখনও ধরে উঠতে পারেননি। তাই ব্যাটিংয়ের ওপেনিং স্লটে থাকতে পারছেন না। প্রথম ম্যাচে মিডলঅর্ডারে নামলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ওপেন করেন উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার।
এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধার সুযোগ পাননি পাঁচ রানে আউট হওয়ায়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রানের বন্যা বয়ে জাতীয় দলে ফেরা বিজয়ের বিজয় কেতন উড়ছে না। লাল বলের মতো সাদা বলের খেলায়ও রীতিমতো ব্যর্থ তিনি। প্রথম ম্যাচে মুনিম শাহরিয়ার যেভাবে আউট হয়েছেন, তাতে তাঁর ব্যাটিংয়ের বেসিক নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। নুরুল হাসান সোহান এত বছর ক্রিকেট খেলার পরও ২২ গজে তেমন সাহস দেখাতে পারছেন না। বোলিংয়ের দিক থেকে দেখলে একই ছবি ধরা পড়ে ব্যর্থতার ক্যানভাসে।
আইপিএলের মুস্তাফিজকে বিশ্বকাপ থেকেই পাচ্ছে না জাতীয় দল। চোট মুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদের লাইন-লেন্থে একটু সমস্যা হচ্ছে। শরিফুল ইসলামের শর্ট পিচ বলগুলোর ঠিকানা হয়েছে বাউন্ডারিতে। মুস্তাফিজ জানালেন, শেষ ম্যাচে একই ভুল করতে চান না তাঁরা, 'যেভাবে আমরা বোলিং করেছি (গত ম্যাচে), আরও কী করলে ভালো করতে পারব, এটা নিয়ে কথা বলেছি।' ভুল শুধু বোলিংয়ে নয়, ব্যাটিংয়েও কমাতে হবে। জিততে হলে খেলতে হবে দল হিসেবে।
মন্তব্য করুন