- শিক্ষা
- পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদে দ্রুত নিয়োগ চান প্রার্থীরা
পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদে দ্রুত নিয়োগ চান প্রার্থীরা

মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে মানববন্ধন। ছবি- সংগৃহীত।
দ্রুত নিয়োগের দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে আজ রোববার মানববন্ধন করেছেন পিটিআই (প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) ইন্সট্রাক্টটর (জেনারেল) পদের ভাইভা প্রার্থী ও পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রার্থীরা।
মানববন্ধন শেষে তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, পিএসসির চেয়ারম্যান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে স্মারকলিপি দেন।
মানববন্ধনে পিটিআই ইন্সট্রাক্টর (জেনারেল) পদের ভাইভা প্রার্থী হাবীব আল রাকীব বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর নিয়োগ জটিলতার কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদের ও পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রার্থীরা। বর্তমান বাজারে দুর্মূল্যের কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা দিশাহারা।
পিটিআইয়ের ইন্সট্রাক্টর পদের ভাইভা প্রার্থী ও পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক লিখিত ফল প্রার্থীগণ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরি প্রার্থীরা জানান, ২০১৫ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি পিটিআই সমূহের ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি এই পদের বাছাই (এমসিকিউ) পরীক্ষা এবং ২০১৯ সালের ১৮ জুন লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করে পিএসসি। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর ওই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
তারা বলেন, পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত শিক্ষাগত যোগ্যতা, বাছাই (এমসিকিউ) পরীক্ষা এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার প্রায় চার বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি। আমাদের মধ্যে অনেকেই এই চাকরির আশায় অন্য কোনো চাকরিতে আবেদনই করেনি। আবার ইতোমধ্যে আমাদের অনেকের সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমাও অতিক্রান্ত হয়েছে। ফলে আমরা মারাত্মক হতাশাগ্রস্ত ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।
কয়েকজন চাকরি প্রার্থী বলেন, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গুণগত প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য পিটিআই সমূহে ১৮ মাস মেয়াদী ডিপিএড ডিগ্রি কোর্স দুই শিফটে চলমান রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত ইন্সট্রাক্টর না থাকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের যথাসময়ে প্রশিক্ষণ প্রদান, গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে বদ্ধপরিকর। অথচ সে কাজটি ব্যাহত হচ্ছে।
তারা এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পিটিআই ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) পদের নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান।
মন্তব্য করুন