- শিক্ষা
- দেশমাতৃকা সুরক্ষায় বাঙালির আছে অপার প্রাণশক্তি: ড. মশিউর
দেশমাতৃকা সুরক্ষায় বাঙালির আছে অপার প্রাণশক্তি: ড. মশিউর

জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। ছবি-সমকাল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, দেশমাতৃকা সুরক্ষায় বাঙালির রয়েছে অপার প্রাণশক্তি। ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মতো বড় সাফল্যের পরে একে একে পার্বত্য শান্তি চুক্তি, দারিদ্র্য বিমোচন, মঙ্গা দূরীকরণ, সমুদ্রসীমা বিজয়, ছিটমহল সমস্যা সমাধান, লাখো রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় প্রদান, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরিসহ নানা কাজ বাঙালি আপন শক্তিতে করেছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) ও সাপ্তাহিক উদ্যোক্তা যৌথভাবে আয়োজিত ‘স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর বিদেশিদের হস্তক্ষেপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আর
তিনি বলেন, আগামী পথ চলায় আমরা মানবমুক্তি, মানবিক এবং আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। কোনো পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা নেই। বাংলাদেশ এক ভিন্ন শক্তিকে নতুন উচ্চতায় যেতে চায়। এটিই হবে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত প্রাণ সঞ্চারিত মূল ধারা। সে ধারায় আগামীতে বিশ্বের বহু মানুষ শামীল হবে। সুতরাং আগামী বিশ্বের নেতৃত্ব বাঙালি দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই দেশমাতৃকা সৃষ্টিতে আমার মতো, আপনার মতো ৩০ লাখ মানুষ আত্মোৎসর্গ করেছেন মন্তব্য করে সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, তাঁদের প্রত্যেকের জীবনে অন্য স্বপ্ন ছিল। তাঁরা অন্য কিছু হতে পারতেন, দীর্ঘায়ু হতে পারতেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে সুন্দর, স্বাভাবিক জীবন গড়তে পারতেন। সে পথে না গিয়ে তাঁরা একটি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির জন্য বন্ধুকের সামনে যুদ্ধ করে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। ২ লক্ষ মা-বোন নির্যাতন সয়ে সয়ে মানচিত্র এঁকেছেন। সেই মানচিত্রে আঘাত হানবেন। আর বাংলাদেশের মানুষ নীরবে, নিভৃতে বসে থাকবে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। এটি ইরাক নয়, আফগানিস্তান নয়- এটি বাংলাদেশ।
বিদেশিদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, আপনারা নিজ দেশের প্রতি আরও বেশি যত্নবান হোন। আপনাদের দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেটিকে রক্ষায় মনোযোগী হোন। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে, গাড়িতে হামলা করে পুলিশ মানুষ মারছে সেসব বন্ধে আপনাদের নজর দেয়া জরুরি। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির পথে এগোচ্ছে সঠিকভাবে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবি’র সভাপতি প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন স্টেট ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল কবির।
মন্তব্য করুন