ঈদ আসে আনন্দের বার্তা নিয়ে। প্রিয়জনের সঙ্গে সে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে, সাজ-পোশাকে নিজেকে সাজানো, অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে হাসি-গান-আড্ডায় মেতে ওঠেন সবাই। কখনও কখনও খুলে বসেন স্মৃতির ঝাঁপি। ঘুরেফিরে আসে শৈশবের কথা। যে কথায় অতীত-বর্তমান মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে কীভাবে বদলে গেছে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া- তা নিয়েই কথা বলেছেন নন্দিত চার তারকা। লিখেছেন সাদিয়া মুনমুন
পূর্ণিমা
ঈদ এলে আনন্দ এখনও হয়, কিন্তু শৈশব-কৈশোরের মতো বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে উঠতে পারি না। এখন জীবন অনেকটা রুটিনবাঁধা হয়ে গেছে। সময়ের সঙ্গে জীবনের রূপরেখা যেমন বদলেছে, তেমনি বদলে গেছে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার ধরন। আসলে বয়সই বলে দেয় কখন কীভাবে চলতে হবে। তাই ঈদের সারাদিনের যে দৃশ্যপট; তারও খুব একটা অদল-বদল নেই। কী করব ঈদের সারাদিন? এই প্রশ্ন করলে উত্তরও একই রকম হবে। মা ও মেয়ে একসঙ্গে নিজেদের নতুন পোশাক সাজাব। যদিও ঈদের আনন্দটা আমার মেয়ে আরশিয়ার কাছেই বড় হয়ে ধরা দেয়। কারণ, ওর চোখে এখন পৃথিবী নানা রূপে নানা রঙে ধরা দিচ্ছে, মন মুক্ত পাখির মতো- এখানে সেখানে ছুটে বেড়াতে চায়। ওর ভালো লাগাকেই প্রাধান্য দিই সবসময়। তারপরও ইচ্ছা থাকলেও যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় ঘুরতে যেতে পারি না। তবে একেবারেই যে কোথাও যাই না- তা নয়; পরিস্থিতি বুঝেই সবকিছু করি। কারণ, আগে থেকে কোনো কিছু পরিকল্পনা করি না। রুটিনবাঁধা জীবন, যেভাবে চলে, সেভাবে চললে মন্দ কী? এই যেমন আরশিয়াকে সুন্দর করে সাজিয়ে, বাড়িঘর পরিপাটি করে গুছিয়ে তারপর নিজের দিকে নজর দিতে চাই। শাড়ি আমার প্রথম পছন্দ। খোলা চুল, গণনার বাহুল্য ঝেড়ে ফেলে শাড়িতে নিজেকে সাজাতেই ভালো লাগে। ভারী মেকআপও পছন্দ নয়। হালকা সাজেই নিজেকে সাজাব। এরপর রান্না-বান্নার তদারকি, অতিথি আপ্যায়ন, ঈদ অনুষ্ঠানে চোখ রাখা- এসবের মধ্য দিয়ে দিনটি কাটবে। তবে ঈদে যত কিছুই করি না কেন, পুরোনো দিনের স্মৃতি বারবার মনের পর্দায় ঠিকই ভেসে ওঠে। কেন জানি না, জীবন থেকে যে সময়টা হারিয়ে যায় সেটাই মধুর স্মৃতি হয়ে ধরা দেয়। বিশেষ করে ছেলেবেলার স্মৃতি। সেই যে আনন্দের শৈশব-কৈশোর, তা কী আর ফিরে পাব? সম্ভব নয়। তবু আরশিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে কখনও কখনও সেই সময়ের স্মৃতিতে ডুবে যেতে ভীষণ ভালো লাগে। মনের পর্দায় ভেসে ওঠে, ঈদের আগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির গ্রামের বাড়িতে ছুটে যাওয়া। ফটিকছড়িতে সমবয়সী আত্মীয় ও বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ উল্লাসে মেতে ওঠার সেই আনন্দময় মুহূর্তগুলো কখনোই ভুলতে পারি না। মনে পড়ে রোজার ঈদে চাঁদ দেখার জন্য ছাদে উঠে আকাশের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকা, চাঁদের দেখা মিললেই চিৎকার দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক ঘটনা। রোজা ও কোরবানি দুই ঈদেই যে কাজটি কমন ছিল তা হলো হাতে মেহেদি দেওয়া। ঈদের আগের রাতে মেহেদি লাগানোর ধুম পড়ত। ডিজাইন করে মেহেদি দিতাম। ঈদের দিন সকাল, দুপুর ও রাতে কোন কোন পোশাক পরব- সেটাও নিয়ে ভাবনার শেষ ছিল না। তিন বেলার জন্য আলাদা করে পোশাক গুছিয়ে রাখতাম। কিন্তু ভুলেও ঈদের আগে নিজের কোনো পোশাক কাউকে দেখতে দিতাম না। সবই লুকিয়ে রাখতাম। আর ঈদের দিন একেক বেলা একেক পোশাক পরে সবাইকে দেখাতে চাইতাম- অন্যদের চেয়ে আমি কিছুটা হলেও আলাদা। কিন্তু নিজেকে আলাদা প্রমাণ করতে চাইলেও কাউকে ছেড়ে আলাদা থাকতে চাইতাম না। ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে একসঙ্গে কাটিয়ে দিতাম। কোরবানির ঈদ নিয়েও অনেক স্মৃতি আছে। ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে গরুর হাটে যাওয়ার দৃশ্য এখনও চোখে ভাসে। গরু কিনে বাড়ি ফিরে গরুর গলায় যে ফুলের মালা থাকত তা নিজের গলায় পরতাম। ঈদের দিন পর্যন্ত গরুকে খাওয়ানো, গোসল করানোই ছিল আমার কাজ। আমার জন্য কেউ গরুর কাছে আসতে পারত না। খুব যত্ন নিতাম কোরবানির গরুর। তাই কোরবানির সময় খুব কষ্ট হতো গরুর কথা ভেবে। কোরবানির মাংস খেতে চাইতাম না। বড় আপুরা অনেক বুঝিয়ে বলার পরই খাবার খেতাম। সেই দিনগুলো হারিয়ে গেছে ভেবে এখন সত্যি আফসোস হয়। আবার যদি ফিরে পেতাম সেই সময়- কী আনন্দই না হতো!

বাঁধন


আমি আর আমার মেয়ে সায়রা দু'জনের সাজ-পোশাক একই রকম হওয়া চাই। আগের সব ঈদেও আমরা ম্যাচ করে পোশাক পরেছি। এবার তার ব্যতিক্রম হোক- ভুলেও চাই না। আসলে সায়রা আমার পৃথিবী। ওর যা কিছু ভালো লাগে, সেটা আমার করা চাই-ই চাই। তাই কখন কী খাব, কোথাও ঘুরতে যাব কিনা, ঈদের সারাদিন কীভাবে কাটাব- সবই সায়রাই নির্ধারণ করবে। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, অতটুকুন মেয়ে কী এসব সিদ্ধান্ত নিতে পারবে? যদি কেউ এই প্রশ্ন করেই থাকেন, তাহলে বলব, মেয়ে আমার ছোট হতে পারে, কিন্তু ও-ই আমার অভিভাবক। ওর চোখ দিয়েই আমার পৃথিবীটাকে আনন্দময় করে তুলতে চাই। খুঁজে নিতে চাই শৈশবের আনন্দ। তবে কিছু কাজ নিজের না করলেই নয়। যেমন বাড়িঘর পরিস্কার, ঝকঝকে তকতকে রাখা, সায়রাকে নিজ হাতে সাজানো আর বিশেষ কিছু খাবারের পদ রান্না করা। ঈদের আগেও কিছু রুটিনবাঁধা কাজ থাকে, যেমন মা-মেয়ের পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনসহ বাড়ির কাজের লোক, ড্রাইভার তাঁদের জন্য কিছু কেনাকাটা, অসহায় মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা- এসব করতেই হয়। এটুকু না করলে ঈদের আনন্দ সত্যি ফিকে হয়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম চাই না। অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে সবকিছু আগের মতোই হোক- এটা চাই। তবে ঈদের ছুটিতে যদি খানিকটা বিশ্রাম নিতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। কয়েক মাস ধরে এদেশে-ওদেশে ছোটাছুটি লেগেই আছে। বাড়ি ফিরে ইচ্ছেমতো খানিকটা সময় কাটাব- তারও সুযোগ পাচ্ছি না। অনেকে বলেন, ব্যস্ততাই হলো জীবন। তবু একটু ছুটি তো চাই।
ঈদের আনন্দটা এখন পুরোপুরি সায়রাকেন্দ্রিক। ওর যা কিছুতে আনন্দ, আমিও সেসবে আনন্দ খুঁজে পাই। আসলে ঈদের আনন্দ তো শৈশবেই। ওকে দেখেই নিজের ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়। কাল ঈদ- এটা ভেবেই রাতে ঠিকমতো ঘুম হতো না। তারপরও মায়ের দেখাদেখি খুব ভোরে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়তাম। মা যতই বারণ করুক না কেন, সকালে গোসল সেরে ঈদের সাজে নিজেকে তৈরি করে নিতাম। নতুন সাবানে গোসল সেরে, নতুন জামা, জুতা পরে বসে যেতাম প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে। কখন বাবা নামাজ পড়ে বাসায় ফিরবেন, তখন তাঁর থেকে ঈদের সালামি নেব, তাঁর জন্য যে ঘড়ি ধরে অপেক্ষায় বসে যেতাম। শুনলে অবাক হবেন, ঈদি বা সালামি যেটাই বলুন না কেন, প্রিয়জনদের কাছে এখনও সেটা আদায় করি। টাকার অঙ্ক কম-বেশি যাই হোক না কেন ঈদি আমার চাই। অবশ্য এখনও ঈদি পাই, তবে এই বিষয়ে আমিও ছাড় পাই না। বরং ঈদি পাওয়ার চেয়ে দিতেই হয় বেশি। এসব রীতি-রেওয়াজের মধ্য দিয়ে আসলে শৈশবের আনন্দকে খুঁজি। শৈশব-কৈশোরকে ফিরে না পেলে কিছুটা সেই সময়ের আনন্দের আভা থাকে উৎসবে- এটাই থাকে প্রত্যাশা।


মাহিয়া মাহি
ঈদের আগে থেকেই নানা রকম পরিকল্পনা করতে বসে যাই, এই করব, সেই করব- কত কী। কিন্তু দেখা যায়, পরিকল্পনার অনেক কিছুই ওলট-পালট হয়ে গেছে। তারপরও পরিকল্পনা থেমে থাকে না। ঈদের সারাদিন কীভাবে কাটাব, তারপরও একরকম পরিকল্পনা আছে, কিন্তু সেটা কাউকে জানাতে চাই না। কিছু কমন বিষয় যেমন নতুন পোশাকে নিজেকে সাজানো, প্রিয়জনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, অতিথি আপ্যায়ন, কোথাও ঘুরতে যাওয়া- এসবই নিয়ে থাকব। সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি বা যেকোনো পোশাক পরতে পারি। তবে কেন জানি, এদিন শাড়ি পরার খুব ইচ্ছা জাগে। লাল রং প্রিয়- তা নয়। তারপরও কেন জানি মনে হয়, ঈদের দিন আমাকে লাল রঙের একটি শাড়ি পরতেই হবে। তবে পোশাক যেটাই হোক, ভারী কোনো মেকআপ নেব না। চোখে আইলাইনার, ঠোঁটে লিপস্টিক- এমন হালকা কিছু মেকআপে নিজেকে সাজাব। তবে মুখ উজ্জ্বল রাখার জন্য টমেটো নির্যাস ব্যবহার এখনও ধরে রেখেছি। ঈদের আগে এটা নিয়মিত করি। হালকা মেকআপ বলেই ভারী গহনা পরার ইচ্ছা নেই। ঢাকা থাকলে কিংবা গ্রামের বাড়ি গেলেও ঈদের সময় হালকা সাজেই নিজেকে সাজাতে ভালো লাগে। কারণ দিনটি কাছের মানুষদের সঙ্গে হাসি-গান-আড্ডার মধ্যে দিয়ে কাটাতে চাই। খাওয়া-দাওয়ার বিষয়েও এদিন নিয়মিত ডায়েট থেকে সরে আসি। কোমল পানীয় থেকে শুরু করে মাংসের নানা পদের খাবার নিয়েও আপত্তি করি না। এবারও তেমন কিছুই আশা করছি। তবে যত যাই করি, ছোটবেলার আনন্দটা ফিরিয়ে আনতে পারি না। কত স্মৃতি, ছেলেবেলার- তা বলে শেষ করা যাবে না। তখন প্রায় প্রতি ঈদেই দাদাবাড়ি রাজশাহীতে যাওয়া হতো। সেখানে পুরো গ্রাম চষে বেড়ানো ছিল আমার নেশা। ছেলেবেলার বন্ধুদের সঙ্গে সারাদিন সময় কাটাতাম। আরও ভালো লাগত পুকুরের পানিতে গোসল করতে। সাঁতার না জানলেও ডুবে যাওয়ার ভয় ছিল না। কারণ, পুকুরের পানিই ছিল কোমর সমান। একই রকম আনন্দ হতো নানাবাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ গেলেও। তবে কোরবানি ঈদটা একটু অন্যরকম হতো। যেদিন থেকে কোরবানির হাট বসত, সেদিন থেকেই বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কে কেমন গরু কিনল, তা দেখতাম আর বাবাকে গরু কেনার জন্য তাগাদা দিতাম। আমার পীড়াপীড়িতে অন্তত ঈদের দু'দিন আগে হলেও বাবা গরু কিনে আনতেন। এরপর গরুকে ঘাষ খাওয়ানো থেকে শুরু করে সবসময় চোখে চোখে রাখতাম, যাতে কোনো অযত্ন না হয়। সেই গরুকে যখন কোরবানি করা হতো, তখন কষ্টে বুক ফেটে যেতে। কান্না থামাতে পারতাম না। সারাদিন কাটত না খেয়ে। গ্রামের ঈদ যত আনন্দের ঢাকায় ততটা আনন্দ সত্যি খুঁজে পাওয়া যায় না। তারপর এবার ঈদ কতটা আনন্দের হবে সত্যি জানি না। কারণ ক'দিন আগে বানভাসি মানুষদের পাশে দাঁড়াতে আমার স্বামীর সঙ্গে সিলেটে গিয়েছিলাম। আমাদের সাধ্য অনুযায়ী তাঁদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছি। এই ঈদে সবকিছুর আগে এটাই চাই, সেই মানুষগুলোর কষ্ট দূর হয়ে মুখে হাসি যেন ফোটে। তাহলেই ঈদের আনন্দ সত্যিকারভাবে উদযাপন করতে পারব।

আঁখি আলমগীর
আমার দুই মেয়ের কাছে আমি হলাম 'সুপার মম'। সুপার হিরোদের সঙ্গেই ওরা আমার তুলনা করে। ওদের দেখাশোনা, ঘর-দুয়ার সামলে গানের চর্চা চালিয়া যাওয়া, রেকর্ডিং, স্টেজ শো, টিভি লাইভ- সবকিছু নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। এরপর যখন ঈদ আসে তখনও তো কাজ আরও বেড়ে যায়। তবে যত কিছু করি না কেন, সন্তানদের কাছে উৎসব যেন আনন্দময় হয়ে ওঠে সে চেষ্টাই করি। ঈদের দিন মেয়েদের সঙ্গে আমিও নতুন পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে নিই। হালকা প্রসাধন আর পোশাকে শাড়ি আমার পছন্দ। নিজের ডিজাইন করা শাড়ি প্রাধান্য পাবে। তবে সময় বুঝে কখন কী পরব সেটা ঠিক করব। আর প্রিয়জন, ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, অতিথি আপ্যায়ন, সুযোগ পেলে বেড়ানো- মোটামুটি এটাই ঈদের সারাদিনের রুটিন। আসলে ঈদের আনন্দটা পুরোপুরি পাওয়া যায় ছোটবেলাতে। এখনও মনে পড়ে, সেই দিনগুলোর কথা, যখন বাবা আমার জন্য ঈদের নতুন জামা কিনে আনতেন। কেনাকাটার পর্বটা ঈদের অনেক আগেই সেরে ফেলা হতো। কী রঙের জামা কিনব, জামার কথা জনে জনে বলে বেড়াব, এসব নিয়েই ঈদের আগের রাত পর্যন্ত পরিকল্পনায় থাকতাম। তবে যা কিছু কেনা হোক না কেন, সেগুলো কাউকেই দেখাতাম না। নতুন পোশাক নিয়ে সব বালিশের নিচে লুকিয়ে রাখতাম, যেন কেউ না দেখে। ঈদের আগের রাতে মেহেদি লাগানো নিয়েও অনেক স্মৃতি আছে। ঈদের দিন খুদের দল কী কী যে করতাম, তা বলে শেষ করা যাবে না। ঈদের দিন মায়ের হাতের রান্না খেয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে মামা, খালা, ফুফিদের বাসায় বেড়াতে যেতাম।
সালামি নেওয়ার বিষয়টি তো আছে। দিন শেষে ঈদের সালামি নিয়ে হিসাব করতাম, কে কত পেলাম। এখন আমি আমার বাচ্চাসহ অন্য বাচ্চাদের ঈদ সালামি দিই। সালামি দেওয়ার মধ্যেও আমি একটা আনন্দ পাই। ছোটবেলার ঈদের এসব আনন্দস্মৃতি সত্যিই ভুলব না।

বিষয় : ঈদের সারাদিন

মন্তব্য করুন