কবিতায় ব্যক্তিজীবনের প্রতিফলন থাকে কিনা- এই নিয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কেউ মনে করেন, কবির আত্মজীবন কবিতায় উপস্থাপিত হওয়া সমীচীন নয়। মহৎ কবিতা নৈর্ব্যক্তিকতা দাবি করে বিধায় এটা কবিতার দুর্বলতা। পক্ষান্তরে যাঁরা শিল্পকে যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ বিষয় হিসেবে সাব্যস্ত করেন, তাঁদের কাছে কবিতায় আত্মজীবনের উপস্থাপন রীতিবিরুদ্ধ কিছু নয়। শামসুর রাহমান আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিমান কবি। তাঁর আত্মজৈবনিক কবিতার পর্যালোচনা বর্তমান লেখার অন্বেষিত বিষয়।
শামসুর রাহমান আমৃত্যু জীবনের বিচিত্র বিষয়কে উপজীব্য করে অজস্র কবিতা লিখেছেন। কবিতার প্রতি আত্মসমর্পণের তাড়না থেকে তিনি হয়তো লিখেছেন-
'যদি বাঁচি চার দশকের বেশি লিখব।
যদি বাঁচি দুই দশকের কম লিখব।
যদি বেঁচে যাই দু'চার বছর লিখব।
যদি বেঁচে যাই একমাস কাল লিখব।
যদি বেঁচে যাই একদিন আরো লিখব।'
[ইচ্ছা/ নিজ বাসভূমে]
আদতে শামসুর রাহমান জীবন ও সমকালসংলগ্ন কবি বলেই তাঁর কবিতায় আত্মজীবনের বয়ান শিল্পিতরূপে উপস্থাপিত হয়েছে। আত্মজৈবনিক কবিতার আদলে ভাবার্থ পেয়েছে নৈর্ব্যক্তিকতা, ব্যক্তি থেকে সামষ্টিকতা। এই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য- 'একজন ব্যক্তিই কবিতা লেখেন, তাঁর বিক্ষোভটা তাঁর ব্যক্তিগত হলেও আমি যেহেতু নিঃসঙ্গ নই, আমার এ বিক্ষোভের মধ্যে অনেকের বিক্ষোভই প্রতিফলিত। সুতরাং আমার মনে হয়, সেটা আর আমার একার বিক্ষোভ থাকে না। অনেকের বিক্ষোভে পরিণত হয়। আমি এভাবেই দেখি।'
[শামসুর রাহমান :নিঃসঙ্গ শেরপা/ হুমায়ুন আজাদ]
আত্মজৈবনিক কবিতা লেখায় রাহমান এতটাই উদ্বুদ্ধ হয়েছেন যে, কোনো কোনো কবিতায় নিজের নামোল্লেখ করে ব্যক্তিগত বোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। নার্সিসাসের মতো নিজের কাব্যদর্পণে নিজেকে দেখতে চেয়েছেন বৈকি। যেমন-
'শামসুর রাহমান নামে আছে একজন,
নিজের কাছেই বন্দী সর্বক্ষণ।
প্রতিদিন শহরের সবচেয়ে করুণ গলির মুখচ্ছবি
মুখের রেখায় নিয়ে হাঁটে ফুটপাতে,
সুনিবিড় রিশতা তার রহস্য নামক অতিশয়
লতাগুল্মময় প্রান্তরের সাথে কেমন অচিন দৃশ্যাবলি সমেত বিপুল
অদৃশ্যের সাথে!
... ... ... ... ...
একজন পরী হ্যালো হ্যালো বলে, ডায়াল করছে অবিরাম
মধ্যরাতে ঢাকা বড়ো একা বড়ো ফাঁকা হয়ে যায়।'
[দুঃখ /রৌদ্র করোটিতে]
নাগরিক কবি বলেই তাঁর আত্মজৈবনিক কবিতায়ও অনায়াসে যুক্ত হয়েছে নাগরিক সংশ্নেষ। কবিতার উপমা কিংবা চিত্রকল্পের ভাঁজে লীন হয়ে আছে ব্যক্তিগত বিষাদের সুর। ফলে 'শহরের সবচেয়ে করুণ গলির মুখচ্ছবি' মেনে নিয়ে তিনি লোকালয়ে বিচরণ করেন। কবিতার পঙ্‌ক্তির ভাঁজে খুঁজে ফেরেন শৈশবস্মৃতি। 'চকবাজারে ঘিঞ্জি গলির কিনারে', 'ছেচল্লিশ মাহুতটুলীর ছাদে', 'আশেক লেন' কিংবা 'সেই বাতি-অলার' কাছে। যিনি সর্বাঙ্গে আঁধার মেখে কবিকে জিজ্ঞেস করেন-
'সর্বাঙ্গে আঁধার মেখে কী করছো এখানে খোকন?
চিবুক ঠেকিয়ে হাতে, দৃষ্টি মেলে দূরে প্রতিক্ষণ
কী ভাবছো বসে?
হিজিবিজি কী আঁকছো? মানসাঙ্ক ক'ষে
হিশেব মিলিয়ে নিচ্ছো? দেখছো কি কতটুকু খাদ
কতটুকু খাঁটি এই প্রাত্যহিকে, ভাবছো নিছাদ
ঘরে থাকা দায়, নাকি বই-পত্রে ক্লান্ত মুখ ঢেকে
জীবনের পাঠশালা থেকে
পালানোর চিন্তাগুলো ভ্রমরের মতো
মনের অলিন্দে শুধু ঘোরে অবিরত?'
[কখনো আমার মাকে/ বিধ্বস্ত নীলিমা]
সমকালীন বাংলা কবিতায় নগরের আবহে ব্যক্তিজীবনের উদ্ভাস কমই দেখা যায়। সৈয়দ শামসুল হক, নির্মলেন্দু গুণ, হাসান হাফিজুর রহমান, আল মাহমুদ কিংবা শহীদ কাদরী- তাঁরা কদাচিৎ নগরনির্ভর কবিতা লিখলেও রাহমানের মতো অগ্রসরমান নয়। আধুনিক বাংলা কবিতায় জসীম উদ্‌দীন যেমন গ্রামীণ জীবনের একচ্ছত্র রূপকার। একইভাবে শামসুর রাহমানও কবিতায় নগরের নিপুণ কারিগর। যেহেতু আমৃত্যু তিনি ছিলেন নগরের বাসিন্দা, সেহেতু ব্যক্তিজীবনের বিষয়াদি এড়িয়ে যেতে পারেননি। ফলে এ ধরনের আত্মজৈবনিক কবিতায় বুঁদ হয়ে পাঠকও যেন 'পার্কের নিঃসঙ্গ বেঞ্চি'-তে নিজেদের আবিস্কার করেন। শুধু তাই নয়; নিজগৃহের আসবাবপত্রও ব্যক্তিগত দুঃখবোধকে উপলক্ষ করে স্বাচ্ছন্দ্যে কবিতায় জায়গা করে নেয়। যেমন-
'আমাদের বারান্দায় ঘরের চৌকাঠে
কড়িকাঠে চেয়ারে টেবিলে আর খাটে
দুঃখ তার লেখে নাম।

ছাদের কার্নিশ, খড়খড়ি
ফ্রেমের বার্নিশ আর মেঝের ধুলোয়
দুঃখ তার আঁকে চকখড়ি
এবং বুলোয়
তুলি বাঁশি-বাজা আমাদের এই নাটে।'
[দশ টাকার নোট এবং শৈশব/ যে অন্ধ সুন্দরী কাঁদে]
শামসুর রাহমানের কবিতার বিশেষ একটি প্রবণতা- গীতিকবিতার ভাবস্পন্দে ব্যক্তিগত জীবনবোধের প্রকাশ। হৃদয়জাত আনন্দ-বেদনার তলস্পর্শী এই শ্রেণির কবিতা যেমন আবেগমথিত, তেমনই শিল্পিত ব্যঞ্জনায় উচ্চকিত। আরেক সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- 'একজন কবির ব্যক্তিমানস এবং কবিমানস কি আলাদা?' জবাবে তিনি বলেছেন, 'না, কিছু না কিছু যোগসূত্র থাকেই। জীবনানন্দ দাশের কথাই যদি বলি, জীবনানন্দ দাশের ব্যক্তিমানসই তো তাঁর কবিতায়, তাঁর উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে। তাই নয় কি? সুতরাং তাঁর ব্যক্তিমানসের, তাঁর চরিত্রের কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য একজন লেখকের সৃজনকর্মে প্রতিফলিত হবেই।' [শামসুর রাহমানের সাক্ষাৎকার/আলাপে আড্ডায়/রনজু রাইম]
শামসুর রাহমান মাকে নিয়ে কয়েকটি কবিতা লিখেছেন। যেখানে তাঁর মায়ের প্রতি নিবিড় অনুরক্তি ও পারিবারিক টানাপোড়েন আভাসিত হয়েছে। সংসারে ঘরকন্নার কাজে মায়ের নিস্তরঙ্গ জীবনকথা যেন আবহমান বাঙলার চিরচেনা মায়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সংসারজীবনে এসে মাছ কোটা, হলুদ বাটা, বাসন-কোসন ধোয়া এবং ছেঁড়া শার্ট রিফু করাসহ হরেক কাজে দিনমান কেটে যায়। কবির ভাষায়-
'সংসারে এসেও মা আমার সারাক্ষণ
ছিলেন নিশ্চুপ বড়, বড় বেশি নেপথ্যচারিণী। যতদূর জানা আছে, টপ্‌পা কি খেয়াল তাঁকে করেনি দখল
কোনোদিন। মাছ কোটা কিংবা হলুদ বাটার ফাঁকে
অথবা বিকেলবেলা নিকিয়ে উঠোন
ধুয়ে মুছে বাসন-কোসন
সেলাইয়ের কলে ঝুঁকে, আলনায় ঝুলিয়ে কাপড়,
ছেঁড়া শার্টে রিফু কর্মে মেতে
আমাকে খেলার মাঠে পাঠিয়ে আদরে
অবসরে চুল বাঁধবার ছলে কোনো গান গেয়েছেন কি না
এতকাল কাছাকাছি আছি তবু জানতে পারিনি।'
[কখনো আমার মাকে/বিধ্বস্ত নীলিমা]
শামসুর রাহমান তাঁর মায়ের মৃত্যুদিনে রাত জেগে লিখেছেন মর্মছেঁড়া কবিতা 'রাত আড়াইটার পঙ্‌ক্তিমালা'। এ ছাড়া পারিবারিক জীবনের কথাও ফুটিয়ে তুলেছেন কবিতার ক্যানভাসে। 'পারিবারিক এলবাম' শীর্ষক কবিতায় বিষাদ-ভারাতুর ভাষায় এসেছে পুত্র-কন্যাদের কথা। আত্মজীবনের আবহে লেখা কবিতাটি ব্যক্তি কবির মানসচৈতন্যের ইঙ্গিতবাহী। মা কাঠের পিঁড়িতে বসে সবুজ কুমড়ো কাটছেন কিংবা 'বার্থ ডে কেকে ছুরি চালাচ্ছে' কবির সাত বছরের কন্যা। 'একফোঁটা কেমন অনল' কাব্যগ্রন্থের 'মৌনব্রত' কবিতায় এসেছে বাবার কথা। যিনি ছিলেন স্বল্পভাষী, নিশ্চুপ।
শামসুর রাহমান অতীতচারী কবি। তাঁর কাব্যভুবনের বড় অংশজুড়ে আছে স্মৃতিকাতরতা। বয়স বাড়ার সমান্তরালে, পরিণত বয়সে এই নস্টালজিক ব্যাপার আরও বেড়েছে বৈকি। মূলত এই অতীতচারী মনোভঙ্গির ফলে এসেছে স্বগতোক্তি (soliloquy)। 'আমি বা আমার' হয়ে লিখতে গিয়ে কবিতা পেয়েছে আত্মজৈবনিক কাব্যধারার আঙ্গিক। কেবল আত্মজৈবনিক কবিতাই নয়; সমাজ-রাষ্ট্র, প্রেম-প্রতিবাদ, রাজনীতি কিংবা আন্দোলন-সংগ্রামে এই স্বগতোক্তির ঢঙ বজায় থেকেছে। প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় কয়েকটি পঙ্‌ক্তি উদ্ধৃত করা যেতে পারে-

ক.
'মনে পড়ে, যখন ছিলাম ছোট, ঈদে
সদ্যকেনা জামাজুতো প'রে
সালাম করার পর আম্মার প্রসন্ন হাত থেকে
স্বপ্টেম্নর ফলের মতো একটি আধুলি কিম্বা সিকি
ঝরে যেত ঝলমলে ঝনাৎকারে আমার উন্মুখ
আনন্দিত হাতে।'
[একটি ফটোগ্রাফ/ একফোঁটা কেমন অনল]

খ.
'ছেলেবেলা থেকেই কিছু না কিছু সহসা হারিয়ে ফেলে আমি/ভারি দুঃখ পাই।
একটি রঙিন বল একদা কলকাতা থেকে এনে
আব্বা উপহার দিয়েছিলেন আমাকে,
একদিন সে-বল কোন শীতের বিকেলে
ছাদ থেকে প'ড়ে
গড়াতে গড়াতে
গড়াতে গড়াতে
কোথায় অদৃশ্য হল, পাইনি কখনো আর খোঁজ।'
[ছেলেবেলা থেকেই/এক ধরনের অহংকার]

শামসুর রাহমানের ছোট ছেলে মতিন। অল্প বয়সে পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। পুত্রের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি ভীষণ শোকাহত হয়েছেন। পুত্রের মৃত্যুশোক তাঁর বেশ কিছু আত্মজৈবনিক কবিতায় নানাভাবে এসেছে। শঙ্খ ঘোষ যেমন 'বাবরের প্রার্থনা' কবিতায় সন্তানহারা পিতার অন্তর্ভেদী হাহাকারের কাব্যময় রূপ দিয়েছেন।
শামসুর রাহমান তেমনই 'একটি ফটোগ্রাফ' কবিতায় পুত্রহারা পিতার মর্মন্তুদ কষ্টের কথা উপস্থাপন করেছেন।
'বললাম জিজ্ঞাসু অতিথিকে
'এই যে আমার ছোট ছেলে, যে নেই এখন,
পাথরের টুকরোর মতন
ডুবে গেছে আমাদের গ্রামের পুকুরে
বছর-তিনেক আগে কাক-ডাকা গ্রীষ্ফ্মের দুপুরে।'
কী সহজে হয়ে গেল বলা,
কাঁপলো না গলা
... ... ... ... ... ...
অতিথি বিদায় নিলে আবার দাঁড়াই
এসে ফটোগ্রাফটির প্রশ্নাকুল চোখে,
ক্ষীয়মাণ শোকে।
ফ্রেমের ভেতর থেকে আমার সন্তান
চেয়ে থাকে নিষ্পলক, তার চোখে নেই রাগ কিংবা অভিমান।'
[একটি ফটোগ্রাফ/ একফোঁটা কেমন অনল]
শামসুর রাহমান সমসময়ের অনুগামী কবি। সমকালীন আন্দোলন-সংগ্রামের উত্তাপ তাঁর কবিতায় মুখ্য হলেও ব্যক্তিগত প্রেমের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাননি। রোমান্টিক ভাবালুতায় আচ্ছন্ন কবি বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত প্রেমকে কবিতার বাতাবরণে হাজির করেছেন। তবে প্রেম প্রকাশে তাঁর বক্তব্য হার্দিক হলেও কিছুটা ইঙ্গিতবাহী। 'তুমি', 'সে' কিংবা 'তার' সম্বোধনে প্রেয়সীর প্রতি নিবেদিত হয়েছে আত্মগত অনুরাগ ও অভিমান। যেমন-
'আরো কিছু সময় আমাকে দিলে, প্রিয়তমা, খুব
বেশি ক্ষতি হবে কি তোমার?
মালা-থেকে-খসা মুক্তো যেন
তোমার সময়,
প্রত্যহ ছিটকে পড়ে এদিক ওদিক। দু'চারটে
বেশি মুক্তো নির্দি্বধায় তুলে দাও যদি
আমার ঝুলিতে, পৃথিবীর
বিখ্যাত আহ্নিকগতি থেমে যাবে, এমন তো নয়। থাক থাক'
[আরো কিছু সময়/হৃদয়ে আমার পৃথিবীর আলো]
শামসুর রাহমানের কবিতায় মিথ-পুরাণের প্রতীকে ব্যক্তি আমির প্রকাশ ঘটেছে। যখন চৌদিকে কেবল শত্রুর আনাগোনা। বরাভয় দেওয়ার কেউ নেই। তখন ব্যক্তিকবি প্রতিবাদের জন্যে মিথ-পুরাণের আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন-
'মনে হয় আমি যেন সেই লোকশ্রুত ল্যাজারস,
তিনদিন ছিলাম কবরে, মৃত-পুনর্জীবনের
মায়াস্পর্শে আবার এসেছি ফিরে পৃথিবীর রোদে।
পোশাকের জেল্লা তবু পারে না লুকাতে কোনোমতে।'
উদ্বৃত্ত কবিতাংশে রাহমান যেন মৃত্যুঞ্জয়ী। জীবন তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলেই ল্যাজারসের মতো মৃত্যুকে অতিক্রম করে জীবনের জয়গান গেয়েছেন। ব্যক্তিকবির এমন উদ্ভাস অসংখ্য কবিতায় দেখা যাবে।
সর্বোপরি, আত্মজৈবনিক কবিতায় ব্যক্তিকবির প্রকাশ থাকলেও প্রয়োগের মুনশিয়ানায় কবিতা হয়ে উঠেছে নৈর্ব্যক্তিক। কবির মনোবেদনা কিংবা আনন্দিত অনুভব পাঠকের মনেও সমানভাবে অধিকার বিস্তার করে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা প্রসঙ্গ কবির ব্যক্তিজীবনের সাজুয্যে পেয়েছে সামষ্টিকতা। নিবিড় কাব্যমগ্নতায় শামসুর রাহমান কবিতাকে দিয়েছেন শৈল্পিক সুষমা। া