ঢাকা রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

কবি ও কবিতা

সোনালী স্মৃতির কাবিন

সোনালী স্মৃতির কাবিন

আল মাহমুদ [১১ জুলাই ১৯৩৬–১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯]

আলফ্রেড খোকন

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৩ | ১৮:০০

কবি আল মাহমুদের সঙ্গে আমার প্রথম স্বচক্ষে সাক্ষাৎ ৪ঠা মে, ১৯৯৭ সনে বাংলা একডেমি প্রাঙ্গণে। কেউ একজন তাঁর আর আমার ছবি তুলেছিল। ছবিটি এখনও আছে। আলোকচিত্রীর নাম মনে নেই। তখনও আমার কোনো কাব্যগ্রন্থ বেরোয়নি। তারপর অনেক দিন কেটে গেছে। আমিও গ্রাম থেকে উদ্বাস্তু হয়ে শহরে এসেছি। ১৯৯৮ সালে আমার ‘উড়ে যাচ্ছ মেঘ’ প্রথম কাব্যগ্রন্থ, শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রথম গ্রন্থ প্রকাশ পেল। লিটল ম্যাগাজিনের আস্তানা বাংলা একাডেমির বহেড়াতলায় বসে এর বিক্রয় সম্পন্ন হলো। জনকণ্ঠের সম্পাদকীয় পাতার ভেতরে এক কলামে কবি ইউসুফ পাশা লিখলেন, মেলায় তরুণ কবি আলফ্রেড খোকনের উড়ে যাচ্ছ মেঘ সত্যিই উড়ে গেল। ক্রমশ আমার কবি পরিচয় প্রসারিত হতে থাকল। সে বছর একটি কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছিল। কবি টোকন ঠাকুরের ‘দূরসম্পর্কের মেঘ’, মজনু শাহ’র ‘আনকা মেঘের জীবনী’ এবং আমার ‘উড়ে যাচ্ছ মেঘ’– এই তিনটি কবিতার বইয়ে যথারীতি মেঘ থাকল। এর কিছুদিন পর দেখি, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে নব্বই দশকে প্রকাশিত ৭ কবিকে নিয়ে লিখেছেন কবি আল মাহমুদ। এর মধ্যে আমিও আছি। আমার পা শীর্ষক একটি কবিতা তিনি উদ্ধৃত করেছেন তাঁর লেখায়।

হঠাৎ একদিন তাঁর সঙ্গে দুপুরের কড়া রোদে সোনারগাঁও মোড়ে রাস্তা পার হতে দেখা হয়ে গেল। তখন তিনি চোখে কিছুটা কম দেখতে শুরু করেছেন। রাস্তা পার হতে আমরা উভয়ই পাশাপাশি দাঁড়িয়েছি সিগন্যালের অপেক্ষায়। মুহূর্তেই বললাম– ‘মাহমুদ ভাই, আমি আলফ্রেড খোকন। আপনি কেমন আছেন?’ তিনি করমর্দনের ভঙ্গিতে হাত বাড়িয়ে বললেন– ‘আরে মিয়া, তোমার নাম আমাকে বলতে হবে! আমি তো তোমাকে চিনি। যুগান্তর দেখো নাই! তোমাকে নিয়ে লিখেছি।’ আমি বললাম দেখেছি, ‘তবে সাতের মধ্যে পাঁচটা সলিড, দুটোতে ভেজাল আছে। কারণ সবাইকেই তো এক দাঁড়িপাল্লায় মেপে দিয়েছেন?’ তিনি উত্তর দিলেন– ‘তা দিলেও নিক্তি কিন্তু ঠিকই রেখেছি। দেখো নাই, তোমার কবিতাটাই পুরো উদ্ধৃতি করেছি। অন্যগুলি কিন্তু পঙ্‌ক্তি মাত্র। ওখানেই ওজনটা বুঝতে হয়।’ আমি আবার বললাম, ‘আমার কবিতাটি তো এক পঙ্‌ক্তিতেই। পুরোটা উল্লেখ না করে উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে বিশেষ আর সবিশেষ চেনা যায় না।’ তিনি বললেন, ‘যায়। তোমার দুই পঙ্‌ক্তিও তো লিখতে পারতাম। সেটা করি নাই।’ তৃতীয়বারের মতো পথচারী পারাপারের সিগন্যাল পড়ল। তিনি আমার হাত ধরে সড়ক পার হলেন। ‘সিগারেট খাবা?’ আমরা সোনারগাঁও হোটেলের সামনের দিকটার বাম কর্নারে দাঁড়ালাম। তিনি তাঁর গোল্ডলিফ প্যাকেট থেকে আমাকে একটা দিলেন, নিজেও একটা ধরালেন। সিগারেট পান করতে করতে অনেক কথাই হয়েছিল, সেসব কথা এখানে নয়। শুধু তাঁর একটি কথা বলে এ প্রসঙ্গ থেকে অন্যত্র যাব। ‘বুঝলা, বাংলা কবিতার প্রাণ হচ্ছে গীতিময়তা, তোমার মধ্যে আছে– এটা কখনও ছেড়ে যেও না। আধুনিকতার নাম দিয়ে অনেকে অনেক কথা বলবে, কানে তুলবা না। তুমি তোমার চালেই চালিয়ে যাও।’ এরপর আমরা দু’জন দু’দিকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লাম। উনি গেলেন ডানে, আর আমি বামে।
সম্ভবত ২০০২ বা ২০০৩ সন হবে। সেবার কোরবানির আগের দিন রাতে টোকন ঠাকুর এল আমার ভাড়া বাসায়। কোরবানির সময়টায় ঢাকায় যারা ব্যাচেলর থাকে, তারা বেশ অসহায় হয়ে পড়ে। কমপক্ষে এক সপ্তাহ খাবারের দোকানপাট খুলত না। ফলে আমরা যারা পাড়ার মোড়ের রেস্তোরাঁনির্ভর, তাদের তিনবেলা খাদ্য পেতে অসুবিধা হতো। তো কোরবানির আগের দিন রাতে টোকন আসায় আমি আলুখিচুড়ি পাক করলাম। খেয়েদেয়ে দুই বন্ধু আড্ডাসহ ঘুমিয়ে পড়লাম। আমাদের ভোর হলো সকাল দশটায়। স্নান সেরে আমরা ঠিক করলাম– আজ বাংলা সাহিত্যের কয়েকজন দিকপালকে ফোন করব, প্রথম যাঁর সাড়া পাব, তাঁর বাসায়ই চলে যাব মধ্যাহ্নভোজনে।

আমরা দু’জনেই বেরিয়ে প্রথমে ফোনের দোকান খুঁজলাম। পেয়েও গেলাম একটি ফোনের দোকান। টোকন বলল, ‘শোন, সেলিম আল দীন নাট্যকার হলেও ভিতরটা তাঁর কবি। তাঁকেই ফোন কর। আমি টিঅ্যান্ডটির ফোনে ডায়াল ঘোরাতেই ওপার থেকে একজন কোনো বয়সী মেয়ে উত্তর দিলেন, ‘কাকে চাচ্ছেন?’ বললাম, ‘সেলিম ভাই বাসায় আছেন, ওনাকে দেন।’ ওপাশ থেকে উত্তর এল, ‘স্যার তো বাসায় নেই, নোয়াখালীর বাড়ি গেছে।’ ঠাস করে রেখে দিলাম। তারপর ফোন দিলাম সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের ফুলার রোডের বাসায়। যথারীতি একজন মহিলা বলল, ‘স্যার তো আম্রেকা গেছেন।’ এবার টোকন বলল, ‘কবি আসাদ চৌধুরীকে দে।’ ফোন করলাম আসাদ ভাইকে। এবারও অপরপ্রান্ত থেকে উত্তর আসল, ‘স্যার তো কক্সবাজার গেছেন।’

আমরা দু’বন্ধু পরস্পরের দিকে তাকালাম। তিন ফোনে তিন দ্বিগুণে ছয় টাকা নাই হয়ে গেল! আমি টোকনকে বললাম, একজনও বাসভূমে নেই। ক্রমে দুপুরের দিকে সূর্য যেতে লাগল। টোকনকে এবার বললাম, ‘চল মালিবাগ যাই?’ ও বলল, ‘সেখানে কে আছে?’ আমি বললাম, ‘আমার বড় বোন রেজিনা আপা থাকে। ওরা কোরবানি দেয়।’ টোকন খুব উৎসাহ নিয়ে বলল, এটাই বোধ হয় সঠিক সিদ্ধান্ত হবে, চল। আমরা রওনা হলাম রিকশাযোগে, মালিবাগের উদ্দেশে। তখন বাড়ির গেটে গেটে এত পাহারাদার ছিল না। মালিবাগে বড় বোনের বাসার সামনে নেমে রিকশা ভাড়া পরিশোধ করে ভাগ্নে সাবিতের জন্য পাড়ার মোড় থেকে একটি মিল্ক চকলেট ২০ টাকা দিয়ে কিনে যখন আমরা দু’জন সিঁড়ি বেয়ে তিনতলায় পৌঁছলাম, আমাদের মন ভেঙে গেল! কারণ ওদের বাসার মূল দরজায় মস্ত বড় একটি তালা ঝুলছে। টোকন মুহূর্ত অপেক্ষা না করে বলল, ‘চকলেটটা দে, বড্ড ক্ষুধা পেয়েছে।’ এরপর নিচে নেমে বড় বোনের এয়ারটেল মোবাইলে ফোন করলাম পাড়ার দোকান থেকে। অপরপ্রান্ত থেকে ফোন ধরে বোন বলল, ‘খোকন, আমরা তো কুমিল্লায় চলে এসেছি রে।’

আল মাহমুদের হাতে লেখা কবিতা ‘অনুশোচনা’ [১৯.১.২০০০]

অনুশোচনা
আল মাহমুদ


আমি তোমায় খুন করিনি বললে যখন, না।
জুতোর ফিতে বেঁধে দাঁড়িয়ে গেছি বটে
খুনপিয়াসী মারণাস্ত্র আমার কি ছিলোনা?

নিজের বুকে তাক করে কে নিজেরি নিশানা।

তুমি আমার হৃদয়পুরে তসবীমালার মূল,
মুখখানি তো দিনের আলো, রাত্রি খোলা চুল।
কোন্‌দিকে যে অস্ত্র ধরি, কোথায় করি তাক;–

পাঁজর ভেঙে উড়াল মারে বুনো হাঁসের ঝাঁক।

না–এর নায়ে হাঁ–এর লগি ঠেললো কি সুলতানা?

এরপর আমাদের কর্তব্য বা গন্তব্য কী হবে? টোকন বলল, ‘চল বড় মগবাজারে। ওখানে আল মাহমুদ থাকেন। ধার্মিক লোক, অবশ্যই কোরবানি দিয়েছে এবং আমাদের না খাইয়ে ছাড়বেই না।’ আমি বললাম, ‘বাসা চিনি না।’ ও বলল, ‘চিনতে হবে না। বড় কবি, মগবাজারের কাছাকাছি যেয়ে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দেবে।’ আমরা রিকশা নিয়ে চললাম বড় মগবাজারে, বাংলা সাহিত্যের একজন বড় কবির না-চেনা বাসার উদ্দেশে।

তখন বিকেল তিনটে বাজে। আল মাহমুদের তিনতলা বাসার দরজায় কড়া নাড়তেই দরজার ওপাশ থেকে একজন মেয়ের কণ্ঠস্বর– ‘কাকে চান?’ আমি বললাম– ‘এটা কি কবি আল মাহমুদের বাসা?’ মুহূর্তেই দরজা খুলে গেল। আমি বললাম– ‘মাহমুদ ভাইকে বলেন দু’জন তরুণ কবি এসেছে– টোকন ও খোকন।’ বসুন বলে মেয়েটি ভেতরে চলে যেতে যেতে আমরা আন্দাজ করলাম, মাহমুদ ভাইয়ের ছোট মেয়ে হবে। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে লুঙ্গি ও বাবা গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় মাহমুদ ভাই এলেন। ‘তোমরা এসেছ, কী সৌভাগ্য আমার! বসো বসো।’ এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলে রাখা দরকার, টোকনকে বলেছিলাম, ‘তুই মাহমুদ ভাইয়ের বাসায় ঢুকে প্রথমেই বলবি– আমরা ক্ষুধার্ত, ভাত খাব।’ টোকন বলল, ‘অবশ্যই বলব। না বলে উপায় আছে।’

মাহমুদ ভাই উচ্চ স্বরে ডেকে বললেন, ‘আতিয়া, বাংলা সাহিত্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ তরুণ কবি এসেছে, ওদের চা দাও, বিস্কুট দিও।’ কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর কনিষ্ঠা কন্যা চা-বিস্কুট নিয়ে এল। আমি বুঝতে পারলাম, আতিয়া তাঁর ছোট মেয়ে। বিকেল তিনটের সময় তাঁর গৃহে প্রবেশ করেছিলাম। চা-বিস্কুট আর মাহমুদ ভাইয়ের গোল্ডলিফ সিগারেট খেতে খেতে সেই দিন আমরা মেতেছিলাম বাংলা সাহিত্যের কত কথায়!!! শামসুর রাহমান তাঁর বাসায় এসে কী করতেন। শহীদ কাদরী কেমন ছিলেন। বুদ্ধদেব বসুর কবিতা পত্রিকায় শামসুর রাহমানের লেখা ছাপা হতো, মাহমুদ ভাইয়ের লেখা ছাপা হচ্ছিল না। কী করে তাঁর কবিতা ছাপা হলো– সেসব প্রসঙ্গ। বললেন মুক্তিযুদ্ধে কবি-সাহিত্যিকের ভূমিকা। তিনি কী করে সাইড হয়ে গেলেন। কেন তিনি ডানপন্থি হলেন। তবে সারমর্ম ছিল এই– ‘শোনো, মৃত্যুর পর লেখাটাই আসল হয়ে উঠবে, জীবনে আমি কী কী করেছি সেটা মুখ্য হবে না। মুখ্য হবে আমার কবিতা। কারণ, আমার কবিতা টিকে থাকলে আমি থাকব। আমি টিকে থাকলে কোনো লাভ নেই, যদি না আমার কবিতা টিকে থাকে।’

এইসব কথার মারপ্যাঁচে আমরা কয়েক প্রস্থ চা-বিস্কুট-সিগারেট ধ্বংস করলাম কবি আল মাহমুদের। কিন্তু এ পর্যন্ত টোকন বলতে পারল না যে, আমরা কোরবানির ভাত-গোশত খেতে এসেছিলাম। মাহমুদ ভাই বহুবার ঘরের ভেতরে যেয়ে-এসে আমাদের সঙ্গে আড্ডায় মিলিত হচ্ছেন।

এইভাবে ঘড়ির কাঁটায় বিকেল পাঁচটা বাজল। আমাদের বুভুক্ষু পেট ভাতের পরিবর্তে বাংলা সাহিত্যের রাজনীতি, রজঃনীতি শুনতে থাকল। কিছুক্ষণের মধ্যে আমি বললাম– ‘মাহমুদ ভাই, এবার উঠব।’ তিনি বললেন, ‘আমার মা অসুস্থ, তাই বারবার আড্ডার ছন্দপতন করে ভিতরে গিয়েছি, কিছু মনে করো না।’ আমি বললাম– ‘না না, আগে জানলে তো আমরা আসতামই না।’

আমরা দু’জনই উঠে এলাম। কবি দরজা খুলে দিলেন। সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে যেতে যেতে হঠাৎ মাহমুদ ভাই চিৎকার করে বললেন, ‘খোকন-টোকন দাঁড়াও, তোমরা কি দুপুরে কিছু খেয়েছ? আমি না তোমাদের বলতেই ভুলে গিয়েছিলাম।’ আমরা দু’বন্ধুই বললাম, ‘অনেক তো খেলাম, আর কী?’ নিচে যেতে যেতে টোকন বলল, ‘একজন কবির আফসোস থাকুক। দুই তরুণ কবিকে না খাওয়াতে পারার আফসোস, এটাই ভালো।’ আমি বললাম, ‘শুনেছি আবুল হাসান যখন পিজিতে ভর্তি, তখন গরুর গোশত খেতে চেয়েছিল, কিন্তু যখন মাহমুদ ভাই টিফিন ক্যারিয়ারে গোশত রান্না করে নিয়ে যাচ্ছিলেন, হাসান ভাই তখন আর নেই। আফসোস থাকা ভালো– যখন তা উভয়ের হয়।’

আল মাহমুদের সঙ্গে আরেকটি সাময়িক সন্ধ্যার কথা বলে এ লেখা শেষ করব। আমার চাকরিবাকরি নেই। খুব টেনেটুনে দিনযাপন করছি ঢাকায়। একদিন আল মাহমুদ বললেন, ‘আমি দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার অফিসে বসি। সন্ধ্যার দিকে চলে আসিস।’ গেলামও। যেয়ে দেখি কবি­-বন্ধু জাফর আহমদ রাশেদ আর কবি-বন্ধু অলকানন্দিতা। যাই হোক, ওরা কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে গেল। কেন এসেছিল, কেনই বা চলে গেল– আমি এর কিছুই জানি না। ওরা চলে যাবার পর মাহমুদ ভাই বললেন, ‘শুনেছি তোর নাকি চাকুরি নেই। চাকুরি করবি?’ আমি বললাম কোথায়? মাহমুদ ভাই বললেন, ‘ইনকিলাবে সাহিত্য সম্পাদক লাগবে, তুই করবি কিনা বল, আমি বলে দিলেই হয়ে যাবে।’ আমি বললাম, ‘কাল ভেবে বলি?’ উনি বললেন, ‘দশ হাজার টাকা কিন্তু কম নয়! তবে ভেবে বললে আর বলতে পারবি না, তবুও তুই বলিস। কবির চাকুরী নেই, কবিতা লিখে তো আার খাওয়া যায় না। এই যে ধরো, আমি সংগ্রামে একটি সম্পাদকীয় লিখি, আমাকে ওরা পঁচিশ হাজার টাকা দেয়, টেলিফোন বিল দেয়। এটা কে দেবে বল? কাল জানিও কিন্তু। কবিতার স্বার্থেই কবির কাজ দরকার।’

যদিও আমি আর তাঁকে কাল জানাইনি। কারণ আমার একটি কবিতার কাছে ফিরতে খুব ভালো লাগে– ‘কেউ উদ্বাস্তু আদর্শ থেকে, কেউ উদ্বাস্তু ভিটেমাটি থেকে।’ (অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্ত)

আরও পড়ুন