ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

'বঙ্গবন্ধু আমার আদর্শ, আরও একটু বুড়া হই তখন নির্বাচন নিয়ে ভাববো'

'বঙ্গবন্ধু আমার আদর্শ, আরও একটু বুড়া হই তখন নির্বাচন নিয়ে ভাববো'

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি

অনিন্দ্য মামুন,

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২২ | ০৭:৪৬ | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২ | ০৯:০৫

ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। কয়েকমাস পরই মা হবেন। এখনও করছেন শুটিং। আনুষ্ঠানিক রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন সম্প্রতি। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় দুটি পদে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। সমসাময়িক ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে.. 

ঘরে নতুন অতিথি আসছে। এই অবস্থাতেও শুটিংয়ে দেখা যাচ্ছে আপনাকে....

এখনও স্বাভাবিক আছি। আর কিছুদিন পর পুরোপুরি বিশ্রামে যেতে হবে। তাই যে ছবিগুলোর শুটিং বাকি ছিলো সেগুলোর শুটিং দ্রুত শেষ কতে হচ্ছে। বেশ সাবধানতা অবলম্বন করেই শুটিং করছি। 

মা হওয়ার আগের এই সময়টা কতটা উপভোগ্য মনে হচ্ছে?

কিভাবে যেনো সময় চলে যাচ্ছে। সবাই বাড়তি কেয়ার নিচ্ছে। চোখে চোখে রাখছে। সব কিছুই আলাদা লাগছে। তবে আমি আমার মতোই আছি। ঘুরছি, কাজ করছি, সবার সঙ্গে আনন্দ করছি। নিজের মানসিক পরিবর্তনও লক্ষ করছি। হুটহাট মুড সুইয়িং করছে। এই রেগে যাচ্ছি, এই তো হাশিখুশি থাকছি। অনেকটা টেনশনও হয়। সবাই নড়াচড়া করতে না করে। এদিক ওদিক যেতে বারণ করে; কিন্তু আমি ঘুরছি। আমার বাসায় বসে থাকত ভালো লাগে না। 

ঘোরাঘুরি কী আগের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছেন?

ওই যে বললাম, বাসায় থাকতে ভালো লাগে না। আগে প্রায় প্রতিদিনই কাজে ব্যস্ত থাকতাম। এখন বাসায় শুধু শুধু বসে থাকলে কেমন যেনো লাগে! জীবন এমন হলো কেনো- টেনশন কাজ করে, হতাশ হয়ে যাই। তাই একটু ঘোরাঘুরি করি।


ঠিক এই সময়ে  রাজনীতিতে যোগদান করলেন কি মনে করে?

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যে হলো, তার শুরু থেকেই  বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিস্তর জানতে শুরু করি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই ও তার সম্পর্কিত লেখাগুলো পড়া শুরু করি। স্পেশালি বঙ্গবন্ধুর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বইটা পড়ি। তাকে নিয়ে বইগুলো পড়ার পরই আমার বিশ্বাসের জায়গা অনেক দৃঢ় হয়। একটা মানুষ সব কিছুকে ইগনোর করে দেশের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন! এই উপলব্ধি থেকেই তার প্রতি আরও দুর্বল হয়ে পড়ি। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কেও জানি। নিজ দলের বাইরে অন্য দলের তথা দেশের সব মানুষের পাশে তার দাঁড়ানো, আমাকে মুগ্ধ করে। সরকার প্রধান হয়েও মায়ের মমতার মতো কিভাবে সবার পাশে দাঁড়ান তিনি। বিষয়টি ভাবতে ক্রমেই দলটির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি। তাই আনুষ্ঠানিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হই। রাজনীতিতে এসে আমিও নিঃস্বার্থভাবে সবার জন্য কাজ করতে চাই।

শুধু ওই উপলব্ধি থেকেই এলেন, নাকি স্বামীর ইচ্ছে ছিল? 

আমার স্বামী রাকিব সরকার পুরোপুরি রাজনীতির মানুষ। রাকিবকে দেখে রাজনীতে আনুষ্ঠানিক আসার উৎসাহ পেয়েছি। তার সঙ্গে রাজনৈতিক ময়দানে গিয়ে তৃণমূলের রাজনীতির পার্ট হতে সাহস পেয়েছি। সব কিছু মিলিয়েই তো আসা। আমি মনে করি, প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনো দলের রাজনীতি করে। কেউ প্রত্যক্ষভাবে কেউ পরোক্ষভাবে। সব মানুষই ভেতরে আদর্শ হিসেবে কাউকে না কাউকে লালন করেন। আমিও  ভেতরে বঙ্গবন্ধুকে লালন করতাম। এখন তাই সবাইকে জানিয়েই তার আদর্শে রাজনীতিতে এলাম। 

আপনি অভিনেত্রী, রাজনীতির পাঠ কতটা বুঝবেন?

আমি রাজনীতি একবারেই বুঝিনা। তাই শেখার চেষ্টা করছি। আর আমি তো পুরোদস্তুর রাজনীতির মাঠে নামিনি। তবে এখন থেকে  তৃণমুল পর্যায় থেকে রাজনীতি শেখার চেষ্টা করছি।  

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে আছে কী?

বিষয়টি পরস্থিতির ওপর নির্ভর করে। আগে তো রাজনীতিটা শিখি। আরও একটু বুড়া হই। তারপর না হয় এটা নিয়ে ভাবা যাবে। তবে আমি মনেপ্রাণে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করে রাজনীতিতে এসেছি।  তার মতো করে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমার মনে হয়েছে, রাজনীতিই একমাত্র বড় প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে মানুষের পাশে শক্তভাবে দাঁড়ানো যায়।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×