রিয়াজ। তারকা অভিনেতা। সম্প্রতি 'অপারেশন সুন্দরবন' ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

বেশ বিরতির পর কোন ছবির শুটিংয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন। কেমন ছিল সে অভিজ্ঞতা?

হ্যাঁ, কৃষ্ণপক্ষ ছবির পর কোনো ছবিতে অভিনয় করিনি। দীপঙ্কর দীপনের 'অপারেশন সুন্দরবন' ছবির মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। এখানে আমি একজন র‌্যাব অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। চরিত্রটি প্রস্তুত করতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। এমনকি অভিনয় শিল্পীদের ওয়ার্কশপ করতে হয়েছে। এক কথায় বলব, সুন্দরবনের শুটিং ছিল রোমাঞ্চকর।

ছবিতে খুব কম কাজ করছেন। এর কারণ কী?

অনেক কারণ রয়েছে। অল্প কথায় বলে বোঝানো যাবে না। আমার কাছে যেসব স্ট্ক্রিপ্ট আসে সে সব ছবিতে অভিনয় না করাই ভালো। আমাকে কাজে লাগাতে পারে- এ রকম স্ট্ক্রিপ্ট নিয়ে নির্মাতাদের এগিয়ে আসতে হবে। গুরুত্বহীন চরিত্রে কাজ করে নিজের গুরুত্ব হারাতে চাই না।

অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি নির্মাণের কথা বলেছিলেন। অগ্রগতি কত দূর?

হ্যাঁ, 'পিংক কমিউনিকেশন এজেন্সি' থেকে একটি ছবি নির্মাণের কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু এখনও কাজ শুরু করতে পারিনি। ভালো গল্প খুঁজছি। দেখা যাক কী হয়।

চলচ্চিত্রের এই সময়টা আপনার কেমন মনে হয়?

আমরা খুব সংকটময় অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। ভালো কনটেন্টের অভাব। অনেক দিন ধরে কোনো ব্যবসাসফল ছবি নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ছবি হিট হচ্ছে। কিন্তু তা দর্শক প্রেক্ষাগৃহে দেখছেন না। আমাদের প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। পরিচালক, স্ট্ক্রিপ্ট রাইটার, সিনেমাটোগ্রাফার, শিল্পীদের প্রশিক্ষণ জরুরি। আমি আশাবাদী মানুষ। আশা করছি, ২০২০ সাল ঢাকাই চলচ্চিত্রে জন্য ভালো যাবে। ভালো গল্পের ছবি নির্মাণ শুরু হয়েছে। তারকা শিল্পীরা অভিনয় করছেন। নতুন শিল্পীদের নিয়েও বেশ আশাবাদী। ওরা ভালো কাজ করতে চায়। ভালো নির্মাতা, ভালো স্ট্ক্রিপ্ট পেলে নতুনরা আমাদের চেয়েও ভালো করবে।

এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসা যাক। একটা ছুটির দিনে রিয়াজ কী করেন?

পরিবার-পরিজন নিয়েই সময় কাটে। মাঝে মাঝে বাইরে বেড়াতে যাই। আনন্দ আড্ডায় কখন যে সময় কেটে যায় টেরই পাই না।

জীবনকে কীভাবে দেখেন?

জীবন সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকে পাওয়া সুন্দর উপহার। যতদিন বেঁচে আছি সংগ্রাম করে যাব। জীবনের প্রতিটি সময় অনেক মূল্যবান। যে মুহূর্ত চলে যায় তা কখনও ফিরে আসে না। তাই প্রতি মুহূর্তে সুখী থাকা জরুরি।