আসাদুজ্জামান আবির। অভিনেতা। গত মাসে মুক্তি পেয়েছে নিয়ামুল মুক্তা পরিচালিত সিনেমা 'কাঠবিড়ালী'। এর কেন্দ্রীয় চরিত্র 'হাসু'র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

কাঠবিড়ালী সিনেমায় হাসু চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

যে কোনো চরিত্রই দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করাটা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। হাসু চরিত্রটির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। ক্যামেরার সামনে এটা আমার প্রথম কাজ। তাই ব্যক্তিগতভাবে একটা আলাদা চাপ অনুভব করেছি। তবে হাসু চরিত্রটি যে দর্শনের জায়গা থেকে করেছি এবং দর্শক হলে সিনেমা দেখে যখন সেই একই দর্শন মাথায় নিয়ে বের হয়েছে, তখন মনে হয় হাসু চরিত্রের বিশ্বাসের জায়গাটা হয়তো ঠিক ছিল। এটা এখন খুব ভালো লাগে।

এ সিনেমার সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলেন?

পরিচালক মুক্তা ভাই আমার পূর্ব পরিচিত। আমরা একসঙ্গে রেদওয়ান রনির সহকারী পরিচালক ছিলাম। মুক্তা ভাই তখন প্রধান সহকারী পরিচালক ছিলেন। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা আর এদিকের কাজ ঠিক মিলছিল না। একসময় এদিকের কাজ ছেড়ে দিয়ে পড়াশোনায় মন দিই। তারপর কাঠবিড়ালীর সুবাদেই আমাদের আবার যোগাযোগ হয়। তখনও জানতাম না এখানে অভিনেতা হিসেবে কাজ করব। শুধু জানতাম ক্যামেরার পেছনে সহকারী হিসেবে কাজ করব।

শিক্ষাগত জ্ঞান অভিনয়ে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি?

শুধু শিক্ষাগত জ্ঞান কেন, ব্যক্তিজীবনের সব অভিজ্ঞতাই একজন অভিনেতার অভিনয়ে প্রভাব ফেলে। আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। তবে আলাদা করে অভিনয়ে শিক্ষাগত জ্ঞানের কথা বলতে গেলে অভিনয়চর্চার কথা বলতে হয়। যেটা আমার ক্ষেত্রে ঘটেছে। একজন অভিনেতা অভিজ্ঞতার চর্চায় প্রস্তুত হয় বলে আমি মনে করি।

আগামীতে অভিনয়ে নিয়মিত হবেন কিনা?

অভিনয়টা আমার কাছে প্রার্থনার মতো। চরিত্রকে বিশ্বাস করে নিজেকে সেখানে সমর্পণ না করলে অভিনয়টা হয়ে ওঠে না। এই প্রার্থনার প্রশান্তি কে না পেতে চায় বলুন। তাই অভিনয়ের ক্ষুধা ভেতরে আছে। ভালো গল্পের কাজ পেলে অবশ্যই অভিনয়ে নিয়মিত হতে চাই।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কীভাবে সাজাচ্ছেন?

সময়ের সঙ্গে পরিকল্পনারাও হাত-পা ছড়ায়, আবার কখনও গুটিয়ে নেয়। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক কিছু ভেবে রাখার মানুষ আমি নই। তবে একদম নিজের কিছু ভাবনা আছে। যেগুলো সামনে ঠিকঠাকভাবে করতে চাই।

বিষয় : আসাদুজ্জামান আবির

মন্তব্য করুন