করোনাভাইরাস আতঙ্গের এই পরিস্থিতিতে সিনেমা ও নাটকের শুটিং বন্ধ রাখার ঘোষনা দেয়া হয় বেশ কিছুদিন আগে। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে  ৫০ জনের টিম নিয়ে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিটির শুটিং চালিয়ে যাচ্ছিলো।  শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন সিয়াম আহমেদ-পরীমনি ও ২৫ জনের শিশু শিল্পী। 

বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আনতে গত ২৪ মার্চ সমকাল অনলাইনে সিয়াম-পরীরা নিষেধাজ্ঞা মানছেন না, শুটিং করছেন ৫০ জনের টিম‘  এই শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। 

আজ ছবিটির সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানালেন করোনাভাইরাসের জন্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে  ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ এর শুটিং স্থগিত করা হয়েছে। যদিও  ১৪ মার্চ শুটিং শুরু হওয়া ছবিটির  টানা ২৫ দিন শুটিং করে তবেই ফিরবেন জানিয়েছিলেন।কিন্তু করোনার কারণে অবশেষে শুটিং বন্ধ করে আগে ভাগেই  ঢাকায় ফেরার ঘোষণা দিলেন । 

আজাদ বলেন, ‘আমরা সুন্দরবনে শুটিং করেছি। লোকালয়ের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ ছিলো না। বাইরের কেউ আমাদের শুটিং স্পটে আসা সম্ভব ছিলো না। করোনার এই পরিস্থিতিতে আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে কয়েকদিন শুটিং করেছি। অবশেষে আরও সেফটির কথা ভেবে কাজ বাকি রেখেই ফিরে আসছি।’

সরকারি অনুদানের  ছবিটির পরিচালনা করছেন আবু রায়হান।  এর আগে শুটিংয়ের জন্য ১৩ মার্চ  ছবির অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা সুন্দরবন অঞ্চলে পৌঁছান। এই দলে শিশুশিল্পীরা যেমন ছিলেন তেমনি নায়ক-নায়িকাসহ অন্য অভিনয়শিল্পীরাও ছিলেন। কলাকুশলীরা তো ছিলেনই। 

করোনার এই পরিস্থিতিতে ২৫ জন শিশুকে নিয়ে ৫০ জনের টিমের এ শুটিংয়ে অংশ নেয়াকে ভালো চোখে দেখেননি  পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার।  সে সময় ছবিটির শুটিং চলাটাকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় উল্লেখ করে বলেছিলেন, `এটা দায়িত্বহীনতার পরিচয়। সমিতি থেকে নিষেধ করা বা না করার কি আছে। আমরা এই পরিস্থিতিতে শুটিং করতে যাওয়াটাই ঠিক হয়নি।  তাদের সেচ্ছায় শুটিং বন্ধ করে দেয়ার দরকার ছিলো। যতদূর জানি এই ছবিটি ছাড়া আর কো ছবির শুটিং হচ্ছেনা কোথাও।'

অবশেষে সিনেমার শুটিং বাদ দিয়ে ঘরে ফিরলেন  অ্যাডভেঞ্জার অব সুন্দরবন টিম।