অভাবে আছেন কণ্ঠশিল্পী আকবর। করোনার এই পরিস্থিতিতে ঘরে খাবার কেনার টাকাও নেই তার। এমন খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় গত কয়েকদিন। খবর প্রকাশের পর থেকেই খাবারে ভরে যাচ্ছিলে আকবরের বাসা। সোমবার সমকাল অনলাইনকে তথ্যটি আকবর নিজেই জানালেন।

আকবরের বাসায় এ পরিমাণ খাবার চলে আসছে যে সে  খাবার রাখার জায়গাও আকবরের বাসায় নেই । তাই যে দুই মাসের খাবার রেখে বাকিটা আশপাশের অভাবি মানুষকে দিয়ে দিচ্ছেন বলে জানালেন আকবর। 

আকবর বলেন, করোনার পরিস্থিতির আগে থেকেই খুব একটা ভালো নেই আমি। আর করোনা ভাইরাসের কারণে সব কিছু বন্ধ হয়ে এলে সংসার চালাতেও কষ্ট হচ্ছিলো আমার। কিছু সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার খোঁজ খবর নিয়ে খবর প্রকাশ করায় সব অনেকেই খাবার নিয়ে আসছেন বাসায়।  তবে বেশি খাবার রাখছিনা আমি। পাশে থাকা অভাবিদের দিয়ে দিচ্ছে। তারাও অনেক কষ্টে আছেন।

আকবরের বরাতে জানা যায়, ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বিকাশে তাঁকে ১০ হাজার টাকা পাঠান। এ ছাড়া মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মোরাদ আলী ২০ কেজি চাল, ১০ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল পৌঁছে দিয়েছেন।

তার এমন দূরাবস্থার খবর পেয়ে মানুষ এভাবে ভালোবাসা দেখাবে তা কখনও ভাবনাও আসেনি আকবরের। বিষয়টি তাকে আপ্লুত করেছে বলেই মন্তব্য এ শিল্পীর। সবার কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি। 

আকবর পরিবার নিয়ে ঢাকার মিরপুর ১৩ নম্বরে থাকেন। গত বছরের শুরুর দিকে অসুস্থ হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হয় আকবরকে। তাঁর অসুস্থতার খবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তাঁর পরিবারকে ডেকে ২০ লাখ টাকা অনুদান দেন। সেই টাকার মুনাফা হিসেবে তিন মাস পরপর ৪৯ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তোলেন আকবর। সেই টাকার একটি অংশে (প্রতি মাসে ১৬ হাজার ৩০০ টাকায়) প্রতি মাসের খরচ চলত।

কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে’ নতুন করে গেয়েছিলেন আকবর আলী গাজী। সবার কাছে তিনি আকবর নামে পরিচিত। হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে এই গান তাঁকে আলোচনায় নিয়ে আসে। এরপর ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে’ গানটি দেশ-বিদেশের দর্শক-শ্রোতার কাছে তাকে পরিচিত করে তোলে।