- বিনোদন
- গৃহবন্দি অন্য এক আফজাল হোসেন
গৃহবন্দি অন্য এক আফজাল হোসেন

এ এক অদ্ভুত অস্থির সময়! উদ্ভ্রান্ত সময়, বিমূর্ত অধঃপতনের সময়। বিশ্বব্যাপী ভয়াল নভেল করোনাভাইরাসে থেমে গেছে সব। বন্ধ বিনোদন অঙ্গনের বিভিন্ন আয়োজন। বন্ধ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বড় বড় উৎসব, কনসার্ট ও সিনেমার কার্যক্রম। তাইতো এখন দেশ-বিদেশের সব তারকার হাতে অফুরান ছুটি। চলুন জেনে নিই চিরসবুজ অভিনেতা আফজাল হোসেনের কোয়ারেন্টাইনের সময়গুলোর কথা...
অনেকদিন পর হাতে ফাঁকা সময় হঠাৎ করেই এসে পড়েছে। কারও কাছে এ হলো পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনা, কারও কাছে আবার বিড়ম্বনা। কথা হচ্ছিল আফজাল হোসেনের সঙ্গে। অন্য সবার মতো তিনিও এখন সব কাজ বাদ দিয়ে বাড়িতে সময় কাটাচ্ছেন। নিয়ম করে পড়ছেন, লিখছেন আর ছবি আঁকছেন। কথার শুরুতেই তিনি বলেন, 'এমন অবসর শেষ কবে পেয়েছি তা মনে নেই। পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশের বাইরে বেড়াতে গিয়েছি। ছুটি কাটিয়ে এসেছি। কিন্তু ঢাকার বাড়িতে বসে এমন ছুটি অবিশ্বাস্য। এখন প্রতিদিন নিজের ঘরে নতুন নতুন কিছু দেখছি। একটা সময় ঘরের সব দেখার সময় ছিল না। আর এখন কোন ঘরের ফ্যান একটু বেশি শব্দ করে, এখন বলতে পারি। কোন জানালা দিয়ে কোন দেয়ালটাতে তেরছা হয়ে রোদ এসে পড়ে থাকে, কতক্ষণ থাকে তাও বলতে পারব। ফ্রিজের ভেতর কয়টা তাক বলতে পারি। মাইক্রোওয়েভে কোন খাবার কতটুকু গরম করতে হয় শিখে গেছি।'
অবসর কাটছে কী করে? জানতে চাইলে একগাল হেসে আফজাল হোসেন বলেন. 'নিজের সঙ্গে অহরহ চলছে জোর-জবরদস্তি। ছবি আঁকা প্রিয় বিষয়। কিন্তু এই প্রিয় বিষয়টাতেও বেশিক্ষণ ডুবে থাকতে পারছি না। ঠিক তেমনই পড়া, লেখা, সিনেমা দেখা কোনটাতেই দীর্ঘক্ষণ আঁটকে থাকা যাচ্ছে না। অবসর খুবই আনন্দের। তবে ধরে বেঁধে অবসর...এমন ভদ্র চেহারার ভয়ানক শাস্তি জগতে রয়েছে, কে জানতো!' এই লকডাউনের মাঝে আফজাল হোসেন নিজের লুক পরিবর্তন করেছেন। এখন তার মুখে শোভা পাচ্ছে সফেদ সাদা চাপ দাড়ি। ভিডিও কলে এই নতুন লুক নিয়ে হাজির হয়ে সবাইকে তিনি চমকে দিয়েছেন। নতুন লুক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ঘরবন্দি হওয়ার পর থেকে চুল-দাড়ি কাটার ইচ্ছা জাগেনি। তারা বেশ বড়সড় হয়ে চেহারাটা অন্যরকম বানিয়ে দিয়েছে। সময়ের চাপ আর বন্দিদশায় আনন্দের ঘটনা তো তেমন ঘটে না, বা ঘটানোর সুযোগ নেই। পুরোনো চেহারার নতুনত্ব রোজ কিছু না কিছু আনন্দ দিচ্ছে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে এখন প্রায়ই ভিডিও কলে কথা হয়। অনেকদিন পরে যখন প্রথম কারও সঙ্গে কথা হয়- প্রথম দর্শনে অন্য প্রান্তের মানুষের হা হওয়া দেখতে বেশ ভালোই লাগছে।'
মন্তব্য করুন