- বিনোদন
- ‘মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে অভিনয় করব না’
‘মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে অভিনয় করব না’

জাহিদ হাসান। তারকা অভিনেতা ও নির্মাতা। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর ঈদের বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক পরিচালনা নিয়েও ব্যস্ত
হয়ে উঠেছেন। অভিনয়, পরিচালনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-কিছুদিন হলো শুটিংয়ে ফিরেছেন। সবাই কি স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছেন?
যে শর্তে আমাদের শুটিং করতে দেওয়া হয়েছে, এখন পর্যন্ত সেগুলো কেউকে অমান্য করতে দেখিনি। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করছেন। দিনের পর দিন তো হাত গুটিয়ে বসে থাকা যায় না। যে কোনো উপায়ে হোক, আগে বা পরে অভিনয়ে ফিরতেই হতো। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিংয়ে ফিরেছি আমরা। এখন আমাদের কাজ যেমন করতে হবে, তেমনি স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় সতর্কও থাকতে হবে। তাই প্রত্যেকে নিজের জায়গায় সচেতন থাকার চেষ্টা করছি। শিল্পী ও কলাকুশলীরা একে-অপরের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন।
করোনায় এই মহামারিতে নিয়মিত কাজ করার ইচ্ছা আছে?
সব নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। আগে থেকে কিছু বলা সম্ভব নয়। এটা ঠিক যে এখন চাইলেও একনাগাড়ে কাজ সম্ভব নয়। তাই একটু বুঝেশুনে নাটক কিংবা টেলিছবির কাজে হাত দিচ্ছি। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে অভিনয় করব। টাকার জন্য মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে অভিনয় করব না। যে ইউনিট পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করবে; সেই ইউনিটের সঙ্গেই শুধু কাজ করব।
বিভিন্ন দিবস ও উৎসবকে ঘিরে অনেক নাটক, টেলিছবি নির্মিত হয়। সেখানে কতটুকু সুযোগ থাকে ভিন্নভাবে নিজেকে তুলে ধরার?
ভালো নাটক, টেলিছবির জন্য প্রয়োজন ভিন্ন ধাঁচের গল্প। সেই সঙ্গে চরিত্রের গভীরতা থাকা চাই। গল্প ও চরিত্র নির্বাচন যদি ঠিক থাকে, তাহলে দর্শকের কাছে ভিন্নরূপে নিজেকে তুলে ধরা যায়। করোনার জন্য নাটকের বাজেট কমে গেছে। এর পরও অনেক ভালো কাজ করেছেন। এবারের ঈদে 'চড়া তালুকদার', 'মেষ রাশি, 'বুড়ো জামাই' 'বনে ভোজন'সহ যে কয়টি নাটকে অভিনয় করেছি তার প্রতিটি গল্প ও চরিত্র ছিল ভিন্ন।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে 'চড়া তালুকদার' নামের একটি নাটকে অভিনয় করলেন...
আমার খুব কাছ থেকে দেখা এক বদমেজাজি মানুষের গল্প নিয়ে এই নাটক। সত্য ঘটনা হলেও এতে নাটকীয় কিছু বিষয় রাখতে হয়েছে। নিজের মতো করেও চরিত্র তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি। কারণ এটা তথ্যচিত্র না, নাটক। যেজন্য এটুকু স্বাধীনতা নির্মাতা এবং আমরা যারা শিল্পী তাদের সবারই ছিল। পুবাইলের হাসনাহেনায় লকডাউন করে এর শুটিং করেছি। এর আগেও আদিবাসী মিজানের পরিচালনায় বেশ কয়েকটি নাটকে কাজ হয়েছে। তার নাটকের গল্পগুলো আমাদের সমাজের আশপাশের চরিত্রকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। যে কারণে দর্শকের সঙ্গে নাটকের চরিত্র খুব সহজে সংযুক্ত হতে পারে। ঈদের সময় দর্শক যে ধরনের সাধারণত হাসির নাটক দেখতে চায়, 'চড়া তালুকদার' তেমনই একটি নাটক। হাসির ঘটনার মধ্য দিয়ে এতে সামাজিক বার্তাও দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ আনন্দ নিয়ে কাজটি করেছি।
নির্মাতা জাহিদ হাসানের কী খবর?
অনেক দিন নাটকের শুটিং বন্ধ ছিল। এজন্য পরিচালনা নিয়ে আলাদা করে কিছু ভাবিনি। শুটিং শুরু হয়েছে কিছুদিন হলো। তাই পরিচালনার ভাবনা বাদ দিয়ে অভিনয়ে বেশি ব্যস্ত ছিলাম। এখন ভাবছি, অভিনয়ের পাশাপাশি নিজে একটি নাটক পরিচালনা করা যেতে পারে। এটি হবে দর্শকের জন্য আমার ঈদ উপহার।
মন্তব্য করুন