ইথান হান্ট খ্যাত টম ক্রুজ ও তার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়তে যাচ্ছেন নরওয়েতে। মিশন ইম্পসিবল ছবির পরবর্তী পর্বের শুটিংয়ের অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারীর কারণে অন্যান্য ছবির মতো ‘মিশন ইম্পসিবল’ ছবির সপ্তম ও অষ্টম পর্বের মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্যারামাউন্ট পিকচার্সের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল সপ্তম পর্ব ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এবং অষ্টম পর্ব ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মুক্তি দেওয়া হবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এই দুই ছবির কাজও স্থগিত ছিল এতদিন।  ‌‘মিশন ইম্পসিবল’-এর পরের দুটি পর্বেই পরিচালক হিসেবে থাকছেন এর কাহিনিকার ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়্যারি।

অবশ্য এই সময় তাদের মানতে হবে কঠোর কিছু নীতিমালা। সবার থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হবে টমসহ পুরো টিমকে। অন্যদের সঙ্গে কোনোভাবেই সাক্ষাত না করার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। নরওয়ের সংস্কৃতিমন্ত্রী আবিদ রাজার বরাতে এমন তথ্যই জানা গেছে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে  সংস্কৃতিমন্ত্রী আবিদ রাজা বলেন, ‘এটা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা (অনুমতি) হচ্ছে। তবে চলচ্চিত্রটির পুরো টিম অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে। নরওয়েতে পৌঁছার আগেই তাদের কোভিড-১৯ টেস্ট করতে হবে। সঙ্গে মেডিক্যাল টিমসহ মোবাইল পরীক্ষাগার নিয়ে আসতে হবে।’

অনুমতির বিষয়টি টম ক্রুজ আবিদ রাজার সঙ্গে ভিডিও কথোপকথনের মাধ্যমে জানতে পারেন। এতে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করছি, শিগগিরই আপনাদের নরওয়েতে দেখতে পাবো।’

এর উত্তরে ক্রুজ বলেন,  ‘ওহ, আমিও। নরওয়ের মানুষ, প্রকৃতি ও সংস্কৃতিকে খুব পছন্দ করি। আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এই ছবির জন্য কোয়ারেন্টি ব্যবস্থা শিথিল করার কারণ হল, নরওয়ের চলচ্চিত্র সংস্থা এই ছবির জন্য বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ লগ্নি করেছে।

১৯৮৩ সালে ‘অল দ্য রাইট মুভস’ এবং ‘রিস্কি বিজনেস’ ছবির মাধ্যমে টম ক্রুজের বর্ণাট্য অভিনয় জীবনের সাফল্যগাথা শুরু হয়। ১৯৮৬ সালে ‘টপ গান’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তারকা খ্যাতি পেয়ে যান এ তারকা। ১৯৯৬ থেকে ২০১১, এ সময়টিতে ‘মিশন ইমপসিবল’ ছবির সিরিজগুলোতে অভিনয় করেন হলিউডের এই তারকা। সূত্র: দ্য  ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিষয় : টম ক্রুজ মিশন ইম্পসিবল

মন্তব্য করুন