সেই ২০১৬ সাল থেকে  এফসিডিতে অচ্ছল শিল্পীদের জন্য কোরবানি দেয়া শুরু করেছেন চিত্রনায়িকা পরিমনী। পরীকে দেখে চলচ্চিত্রের এই প্রাণকেন্দ্রে ডিপজল, ফরিদুর রেজা সাগর, ও নায়িকা শিল্পীর সহায়তা শিল্পী সমিতিও কোরবানি দেয়া শুরু করে। তবে এবার শিল্পী সমিতি কোরাবানি না দিলেও থেমে থাকেনি পরীমনি। 

বিগত বছররের ন্যায় এ বছরও এফডিসিতে কোরবানি দিয়েছেন পরি। যদিও কোরবানি দেয়া শুরুর পর থেকে  কোন বছর এফডিসিতে কোরবানি বাদ দেননি এ নায়িকা। প্রতি বছরই  বিগত বছরের চেয়ে বেশিই সংখ্যক কোরবানি দিয়েছেন তিনি। 

প্রথম বছর একটি গরু কোরবানি দিলেও পরের বছর দুইটি এবং তার পরের বছর তিনটি গরু কোরবানি দেন পরীমনি। আজ  এফডিসিতে ৫টি গরু কোরবানি দিয়েছেন।  এফডিসির ৯ নং ফ্লোরের সামনে এই পাঁচ গরু কোরবানি করা হয়। 

পরীমনি বলেন, তুলনামূলক অসচ্ছল ও সুবিধাবঞ্চিত শিল্পী ও কলাকুশলীদের জন্যই  আমার এ উদ্যোগ। শুরু থেকেই বলে আসছি আমি যতদিন সামর্থ নিয়ে বাঁচবো এফডিসিতে কোরবানি দিয়ে যাবো। এটা লোক দেখানো জন্য নয়। ভেতরের উপলব্ধি থেকে। 

পরী আরও বলেন, ‌এফডিসি আমার আরেক পরিবার। খুশির দিনে পরিবারের সঙ্গে সুখ ভাগাভাগি  করে নিতে আমারও খুব ভালো লাগে।'

বিগত কয়েক বছর পরীর পাশাপাশি শিল্পী সমিতির উদ্যোগে একাধিক গরু কোরবানি দেয়া হলেও এ বছর কোন কোরবানি নেই সমিতির। তবে সেখানে মৌসুমী-ওমর সানী ও নিপুণ একটি করে মোট দুটি গরু কোরবানি দিয়েছেন। 

সকালে কোরবানি দিয়ে এফডিসি ত্যাগ করেন মৌসুমীর স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী। তিনি বলেন, ‘অসচ্ছল শিল্পী ও কলাকুশলীদের জন্য এ কোরবানি দেওয়া হয়েছে। এফডিসির বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী আমাদের নিম্ন আয়ের শিল্পী ও কলাকুশলীদের মধ্যে মাংস বিতরণ করবেন। এখানে আমার কোনো কাজ নেই। কোরবানি দেওয়া দায়িত্ব ছিল, সেটি পালন করেছি।’

বিকেলে এফডিসিতে গিয়ে নিজ হাতে কোরবানির মাংস চলচ্চিত্রকর্মীদের হাতে তুলে দেন নায়িকা পরী মণি। কোরবানির গরুর মাংস বিলি করতে নায়িকা নিপুণও বিকেে আসেন এফডিসিতে। নিজ হাতে কোরবানির মাংস তোলে দেন।  এ সময় নিপুন বলেন, ‘এফডিসির আমার আরেক পরিবার। ঈদের খুশি তাই কোরবানির মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিলাম।  এ ছাড়াও এখানকার অধিাকাংশকে ঈদের উপহারও পাঠিয়েছি।’