রিয়াজ। তারকা অভিনেতা ও মডেল। সম্প্রতি জনসচেতনতামূলক নতুন একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি অভিনয় করছেন দীপংকর দীপন পরিচালিত 'অপারেশন সুন্দরবন' ছবিতে। বিজ্ঞাপন ও নতুন ছবির পাশাপাশি এ সময়ের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

করোনার জন্য অনেক দিন শুটিং করেননি। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কাজে ফিরলেন। কেমন ছিল অভিজ্ঞতা?

জনসচেতনতামূলক কাজে আলাদা এক ধরনের আনন্দ আছে। সামাজিক দায় থেকে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের কাজ করি। এবার বিজ্ঞাপন করেও মনের প্রশান্তি পেয়েছি। শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইউনিসেফের এই বিজ্ঞাপনে নির্দেশনা দিয়েছেন মাহফুজুল হক আশিক। শিশুদের ভিটামিন 'এ' খাওয়ানো কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বিজ্ঞাপনে তুলে ধরা হয়েছে। সে সঙ্গে দেখানো হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা খাওয়াবেন।

শুটিংয়ে স্বাস্থ্যবিধি কতটুকু মানা সম্ভব?

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করা সত্যি কঠিন কাজ। মেকআপ নেওয়া থেকে শুরু করে মাস্ক ছাড়া সহকর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব রেখে কাজ করাও কঠিন। তারপরও যতটা পারছি সতর্ক থেকেই কাজ করে যাচ্ছি।

'অপারেশন সুন্দরবন' ছবির শুটিং কি এরই মধ্যে শুরু হবে?

অক্টোবর মাসে নতুন করে ছবির কাজ শুরু হবে বলে শুনেছি। আমিও তাই শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি। 'অপারেশন সুন্দরবন' দিয়ে ছবির কাজ শুরু করব। দীপংকর দীপন পরিচালিত এ ছবিতে একজন র‌্যাব কর্মকর্তার ভূমিকায় আমাকে দেখা যাবে। সুন্দরবন এলাকায় জলদস্যু দমনে র‌্যাবের বেশকিছু অপারেশনকে কেন্দ্র করেই ছবির গল্প।

এখন ছবিতে খুব কম কাজ করছেন; কারণ কী?

অনেক কারণ আছে, যা অল্প কথায় বলে বোঝানো যাবে না। তা ছাড়া এখন যেসব স্ট্ক্রিপ্ট পাই, তার বেশিরভাগ গল্পই গৎবাঁধা, চরিত্রও প্রায় একই রকম। সেসব ছবিতে অভিনয় না করাই ভালো।

চলচ্চিত্রের এই সময়টা আপনার কেমন মনে হয়?

খুব সংকটময় অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি আমরা। অনেক দিন ব্যবসাসফল ছবি নেই। করোনার জন্য শুটিংও হয়নি অনেক দিন, সিনেমা হলও বন্ধ। অনেকে লগ্নি করে বসে আছেন, কিন্তু জানেন না কবে ছবির কাজ শুরু করতে পারবেন। সিনেমা তৈরি হয় সিনেমা হলের জন্য, অথচ বেশিরভাগ হলের অবস্থা করুণ। অনেকে তাই হল বন্ধ করে দিয়েছেন। যেগুলো খোলা আছে, সেগুলোও করোনার জন্য সিনেমা দেখাতে পারছেন না। যে জন্য আমরা যারা শিল্পী, তারা বাধ্য হয়ে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করছি। অনেকে বলছেন, চলচ্চিত্রের কফিনে সর্বশেষ পেরেক হলো করোনা। কিন্তু তার আগেই তো আমরা এই শিল্পের যা ক্ষতি করার তা করে ফেলেছি।

ছবি নির্মাণের কথা বলেছিলেন, প্রস্তুতি নিয়েছেন?

হ্যাঁ, 'পিংক কমিউনিকেশন এজেন্সি' থেকে ছবি নির্মাণের কথা আছে। কিন্তু এখনও কাজ শুরু করতে পারিনি। ভালো গল্প খুঁজছি। দেখা যাক কী হয়।