হাবিব ওয়াহিদ।তারকা কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক। সম্প্রতি মারুশার সঙ্গে গাওয়া তার গান 'দিশেহারা মন' শ্রোতাদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। এইচডব্লিউ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এই গান ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-

'দিশেহারা মন' গান নিয়ে এত আলোচনা হবে, অনুমান করেছিলেন কি?

গান তৈরি করার পর আগে থেকেই অনুমান করা কঠিন সেটি শ্রোতার কেমন লাগবে। কিন্তু এটা ঠিক যে, যতক্ষণ নিজের ভালো না লাগে ততক্ষণ পর্যন্ত সুর-সংগীতের কাটাছেঁড়া চালিয়ে যাই। যখন মনে হয়, গানের সুর ও সংগীত কিছুটা হলেও পরিকল্পনা মাফিক হয়েছে, তখন বিশ্বাস জাগে, গান অনেকের ভালো লাগবে। 'দিশেহারা মন' গানের কাজ শেষ করার পরও মনে হয়েছিল এটি অনেকের ভালো লাগতে পারে। অবশ্য শ্রোতার এই ভালো লাগার পেছনে শিল্পী মারুশার প্রশংসা করতেই হবে। কারণ, শুরু থেকেই তার চেষ্টা ছিল ভালো কিছু করে দেখানোর।

দুই মাস পার হয়নি, আবার ডিজে সনিকার গানের সংগীতায়োজন করলেন?

সনিকার 'কানে কানে' গান অনেকের ভালো লেগেছে। তাই দুই মাস পর আরেকটি গান প্রকাশ করা যেতেই পারে। অনেকে তো প্রতি মাসেই গান প্রকাশ করছেন, তাহলে সনিকার গান প্রকাশে সমস্যা কোথায়। ডিজে পরিচয়ের পাশাপাশি কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সনিকা এখন অনেকের মনোযোগ কেড়েছেন। তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সময়োপযোগী কিছু গান তৈরি করার। 'খুঁজি তোমায়' সেই চেষ্টার ফসল।

একের পর এক তরুণ শিল্পীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তরুণদের এত প্রাধান্য দেওয়ার কারণ কী?

সৃষ্টির নেশা আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলার জন্যই তরুণদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সহজ কথায়, তরুণদের নিয়ে চলছে গানের এক্সপেরিমেন্ট। সালমা, লিজা, পড়শি থেকে শুরু করে মারুশা, সনিকা আর যত শিল্পীর গান করছি, তার বেশিরভাগই নিরীক্ষাধর্মী।

এত এক্সপেরিমেন্ট করা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়নি?

সৃষ্টিতে নতুন ভাবনা তুলে ধরতে চাইলে একটু ঝুঁকি নিতেই হবে। এজন্যই গান তৈরির পাশাপাশি প্রযোজনাও করছি। প্রতিটি কাজ নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে। আমার 'বন্ধু রে' গানের পেছনেও যেমন অনেক সময় দিয়েছি, তেমনি ভিন্নতার জন্য 'প্রেমের খেলা' গানে ফোকের ছাপ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ডিজে সোনিকার 'কানে কানে' গানের কম্পোজিশনও সুরের সঙ্গে মানানসই রাখার চেষ্টা ছিল। 'কুয়াশা' গানের রিমেক করার সময়, আগে যা অসম্পূর্ণ মনে হয়েছে তা করে দেখানোর চেষ্টা করেছি। আবার শ্রোতার কাছে মেলোডির যে চাহিদা, তা অন্যান্য গানে বিভিন্নভাবে তুলে ধরার চেষ্টাও ছিল।