শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে বয়কট ঘোষণা করেছে চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠন। ওই ঘটনার সুরাহা না করেই মিশা সওদাগর আমেরিকা উড়াল দিয়েছেন। বিষয়টি তার 'দায়িত্বহীনতা' বলে মন্তব্য করছেন ১৯ সংগঠনের নেতারা। 

এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠকে বসেন ১৯ সংগঠনের নেতারা।

বৈঠক শেষে ১৯ সংগঠনের নেতা ও বাংলাদেশ প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু জানান, মিশা সওদাগরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হয়েছে। আর জায়েদ খান যেন এফডিসিতে প্রবেশ না করতে পারেন সে বিষয়ে এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর লিখিত আবেদন জানানো হবে।

তিনি বলেন, ‘মিশা কেন বয়কটের কোন সুরাহা না করেই দেশ ছাড়লেন তা আমরা জানি না। এমন দায়িত্বহীন আচরণে তার প্রতি আমরা সবাই ক্ষুব্ধ। তাই মিশার ওপর নিষেধাজ্ঞা ভালোভাবেই বহাল থাকছে।'

এদিকে জায়েদ খানের বিষয়ে জানতে চাইলে খসরু বলেন, ' শিল্পী সমিতির বাদ পড়া ১৮৪ জন সদস্য জায়েদের ওপর খুবই বিরক্ত। সদস্যপদ ফিরে না পাওয়ায় তারা যেকোন সময় এফডিসিতে জায়েদের ওপর চড়াও হতে পারেন। এফডিসি যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান তাই আমরা চাই না এখানে কোন আপত্তিকর ঘটনা ঘটুক। এজন্য জায়েদ খানকে যেন এফডিসিতে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয় সে বিষয়ে এফডিসির এমডি বরাবর আমরা লিখিত আবেদন জানাবো। আশা করছি চলচ্চিত্রাঙ্গনের স্বার্থে এমডি মহোদয় আমাদের আবেদন মঞ্জুর করবেন।'

এর আগে গত ১৫ জুলাই চলচ্চিত্র স্বার্থে চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে বয়কটের ঘোষণা দেয়। 

মূলত মিশা-জায়েদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে যখন-তখন শিল্পীদের সদস্যপদ বাতিল করা, দুর্নীতি, চলচ্চিত্রের উন্নয়ননীতির বিরুদ্ধে শিল্পীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ এনে তাদের বয়কটের ঘোষণা করেন। 

এই বয়কটের প্রতিবাদে গত ১৯ জুলাই এফডিসির জহির রায়হান মিলনায়তনের প্রদর্শন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সেখানে নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান করেন। পাশাপাশি জায়েদ মিশাকে বয়কটের সমালোচনাও করেন তারা।

তবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির থেকে মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে জায়েদ খান পদত্যাগ করলেই তাদের সঙ্গে সমঝোতায় বসবে বলে জানায় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন। বুধবার এফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিবারের আওতায় ১৮টি সংগঠনের জরুরি এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট আরও একটি সংগঠন তাদের বয়কটের ঘোষণা দেয়।