উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। তার গানের জাদুতে মুগ্ধ লাখ লাখ শ্রোতা। সেই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীকেই একটা সময় বিষ প্রয়োগে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছিল। এ তথ্য তিনি নিজেই জানিয়েছেন।

বিষ প্রয়োগে তিনি অসুস্থ হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুশয্যায় চলে গিয়েছিলেন। ১৯৬৩ সালে তার সঙ্গে এমনটি ঘটেছে।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে লতা মঙ্গেশকর বলেন, ওই সময় হঠাৎ কিছুদিন ধরে খুব দুর্বল লাগছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায় চলে যায় যে কারও সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে ওঠতে পারতাম না। ইন্ডাস্ট্রিতে খবর ছড়িয়ে পড়ে লতা মঙ্গেশকর নিজের কণ্ঠ হারিয়েছেন। কিন্তু এমন কোনো আশঙ্কাই ছিল না।

সংগীতসম্রাজ্ঞী এও বলেন, প্রায় তিন মাস শয্যাশায়ী ছিলাম। আমাদের পারিবারিক চিকিৎসক ডা. আরপি কাপুরের অক্লান্ত পরিশ্রমে সুস্থ জীবনে ফিরতে পেরেছি। আরও দুইজনের অবদান কোনোদিন ভুলতে পারব না। প্রথমজন কবি তথা গীতিকার মজরুহ সুলতানপুরী । প্রতিনিয়ত তিনি শয্যাশায়ী লতা মঙ্গেশকরের পাশে এসে বসতেন। কবিতা শোনাতেন। আর দ্বিতীয়জন ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অর্থাৎ হেমন্ত কুমার। তার জন্যই গানের জগতে দ্বিতীয় ইনিংস আমার। আমার বাড়িতে এসে মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে, ‘বিশ সাল বাদ’  সিনেমার জন্য গান গাওয়াতে নিয়ে যান। কথা দিয়েছিলেন, সামান্যতম অসুবিধা হলেই নিজে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে যাবেন। তার জন্যই গাইতে পেরেছিলাম ‘কহি দীপ জ্বলে কহি দিল গানটি’।

কিন্তু কে বিষ দিয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে লতা মঙ্গেশকর বলেন, আমার পরিবার সেই মানুষটির নাম পরে জেনেছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। নিজের কর্মজীবনে ফিরে অতীতের স্মৃতি ভুলে যেতে চেয়েছিলাম। সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা