রুনা খান। অভিনেত্রী ও মডেল। দীপ্ত টিভিতে প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক 'মাশরাফি জুনিয়র'। এ নাটকের পাশাপাশি এ সময়ের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-

'মাশরাফি জুনিয়র' নাটকের গল্প পড়ে কী মনে হয়েছিল, এটি দর্শকের মনে ছাপ ফেলবে?

গল্প পড়ার পর মনে হয়েছে, 'মাশরাফি জুনিয়র' নাটকটি শিশুদের মনে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনে দেবে। আমরা যারা নানা প্রতিকূলতার মাঝেও স্বপ্ন দেখা ভুলে যাইনি, এটা তাদেরই গল্প। এতে আমরা দেখছি মণ্ডা ও মনি নামের দুই ভাইবোন ক্রিকেট খেলার ভক্ত। মণ্ডা চায় মাশরাফির মতো বড় ক্রিকেটার হবে। তার এই স্বপ্ন যে সত্যি হবে, সেই আশার গল্প শোনায় তার বোন মনি। ভাইয়ের খেলা দেখে মনি নিজেও বিশ্বাস করে, মণ্ডা মাশরাফির মতোই একজন ক্রিকেটার হতে পারবে। তারা কোন পরিবেশে, কোথায় বেড়ে উঠছে- এটা নিয়ে মোটেও ভাবে না। এই শিশুমনের স্বপ্নের বিকাশ- এটাই ভবিষ্যতে বড় কিছু করার সাহস জুগিয়ে যায়। আমি এর আগে নানা ধরনের গল্পের নাটকে অভিনয় করেছি, কিন্তু সেগুলো থেকে 'মাশরাফি জুনিয়র' একেবারেই ভিন্ন ধরনের মনে হয়েছে। গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে শুধু বড়রা থাকবে, ছোটরা থাকবে পরিবারের অংশ হিসেবে- এই ভাবনা থেকে লেখা হয়েছে এ নাটকের গল্প। যে জন্য অভিনয় করেও ভালো লাগছে।

আপনার অভিনীত 'ইডিয়ট বক্স' নাটকের প্রচারও শুরু হয়েছে। এই নাটকে আপনার সহ-অভিনেতা ছিলেন হুমায়ূন সাধু, তা কোনো স্মৃতি মনে পড়ে?

হুমায়ূন সাধু প্রাণচঞ্চল মানুষ ছিলেন। নাটকটি প্রচার শুরু হচ্ছে শোনার পর তার কথাই বেশি মনে পড়ছে। শুটিংয়ের সময় অসুস্থ থেকেও কাজ করেছেন তিনি। অভিনয়ের জন্য কতটা নিবেদিত ছিলেন, তা বলে বোঝানো যাবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন সহশিল্পীকে হারিয়েছেন। এই বিষয়টা কতটা কষ্ট দেয়?

ভীষণ কষ্ট পাই যখনই মনে পড়ে আলী যাকেরের মতো বড় মাপের একজন অভিনেতা, নির্দেশক আমরা হারিয়েছি। এই দুঃসময়ে কেএস ফিরোজ, সাদেক বাচ্চুসহ অনেকেই একে একে চলে গেছেন। জানি না তাদের এই শূন্যতা কখনও পূরণ হবে কিনা। যাদের কাছে থেকে দেখা, অভিনয় করতে এসে প্রতিনিয়ত অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়েছে, তাদের এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। পরপারে তারা ভালো থাকুন- এটাই আমার চাওয়া।

লকডাউনের পর অনেকের মতো আপনিও অভিনয়ে ফিরেছেন। কাজের পরিবেশ কি আগের মতোই চোখে পড়ছে?

এখনও আমাদের মন থেকে করোনার ভয় কাটেনি। তাই সতর্ক থেকেই কাজ করতে হচ্ছে। কাজের পরিবেশও আগের মতো নেই। কাজ করতে হবে বলেই আমরা করছি, কিন্তু সেই প্রাণচাঞ্চল্য চোখে পড়ছে না।

নাটকের পাশাপাশি সিনেমায় অভিনয় করে অনেকের প্রশংসা ও স্বীকৃতি পেয়েছেন। সিনেমার কাজ নিয়ে আলাদা করে ভাবেন বলেই আপনার কাজ নিয়ে এত আলোচনা?

আমি কিছু ভালো কাজ করতে চাই, এর বেশি কিছু কখনও ভাবিনি। সিনেমায় অভিনয় করে অনেকের প্রশংসা পেয়েছি, কারণ প্রতিটি কাজই ছিল ভিন্ন ধাঁচের। নিজে বাছাই করে সব কাজ করেছি, তা নয়। ভাগ্যবান বলেই হয়তো 'গহীন বালুচর', 'হালদা', 'কালো মেঘের ভেলা', 'সিটকিনি'র মতো সিনেমাগুলোয় কাজের সুযোগ হয়েছে। আমি শুধু চেষ্টা করেছি নির্মাতার নির্দেশ মেনে চরিত্র দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার। বিনিময়ে যা পেয়েছি, তার পেছনে সিনেমা সংশ্নিষ্ট সবার অবদান আছে।