- বিনোদন
- 'লকডাউনে বাইরে দেখি উৎসবের আমেজ'
'লকডাউনে বাইরে দেখি উৎসবের আমেজ'

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণের মাত্রা। সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে লকডাউন। লকডাউনে সকলের মতো নিজেও এখন ঘরবন্দি আছেন অভিনেতা ফারুক। কিন্তু এই লকডাউনের মধ্যে মানুষের বাইরে মানুষের তামাশা দেখে অবাক তিনি। গতকাল বিকেলে ইফতার কিনতে গিয়ে পাড়া মহল্লায় মানুষের আড্ডার অবস্থা দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন।
সেখানে ফারুক লিখেছেন, গতকাল ইফতার কেনার জন্য বিকালে বাসা থেকে বের হয়েছি। ধারনা ছিল লকডাউনে রাস্তা থাকবে জনশূন্য। গলির মুখে গিয়ে দেখি এলাহি কারবার। গলিতে শত শত মানুষের জটলা। উৎসব মুখর পরিবেশ। বেশিরভাগ লোকজন মাস্কবিহীন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোথায় মহামারী কোথায় কি? আমি অবস্হা দেখে তাজ্জব বনে গেলাম। হায় হায় একি অবস্হা? লকডাউন মানে অতি জরুরি কাজ না থাকলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া যাবেনা। মহামারীর প্রকোপ কমাতে এই ব্যবস্হা। লোকজনের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার জন্য এই ব্যবস্হা নেয়া হয়েছে।
তিনই বলেন, কিছুক্ষণ পর দেখি গলির মুখে পুলিশ। পুলিশ দেখামাত্র শত শত লোক বিপরীত দিকে দৌড় শুরু করলো। কিছুক্ষণের মধ্যে গলি ফাঁকা। আমি রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে রইলাম। পুলিশ আমার পাশ দিয়ে চলে গেল। মুখে বলে গেল, কেউ জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হবেন না। পুলিশ চলে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে সমস্ত গলিপথ আবার পূর্বের অবস্হায় ফিরে এলো।
জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, শত শত লোকজন গলির রাস্তায় বের হয়ে এলো। কিছুলোক হয়তো জরুরি দরকারেই বের হয়েছে। বাকিরা বের হয়েছে তামাশা দেখতে আর আড্ডা দিতে। আমি তাড়াতাড়ি একটা হোটেলে ঢুকে কিছু ইফতারি কিনে বাসায় চলে এলাম। করোনা পরিস্হিতি এখন ভয়াবহ। ভয়াবহ অবস্হা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সকলকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। লকডাউনের সময় যথাসম্ভব ঘরে থাকতে হবে।
ফারুক নিজে একটু স্লোগান বানিয়েছেন- সেটা তিনই প্রচার করছেন, 'মহামারি করোনা। মাস্ক ছাড়া ঘুরোনা।'
মন্তব্য করুন