জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত ডকুড্রামা আবারো ফিরে এলো টেলিভিশন পর্দায়। আজ ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডসহ বেশ কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যাবে 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে নিয়ে নির্মিত সবচেয়ে তথ্যবহুল এই ডকুড্রামাটি বাংলাদেশের পাশাপাশি সমাদৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে।

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পক্ষ থেকে জানানো হয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ বেলা সাড়ে ৩টায় বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে দেখা যাবে 'হাসিনা: এ ডটারস টেল' ডকুড্রামা। ৭০ মিনিটের ডকুড্রামাটি একই সময় সম্প্রচার করবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল 'একাত্তর'। এ ছাড়াও 'হাসিনা: এ ডটারস টেল' ডকুড্রামাটি এদিন আরো দেখা যাবে সময় টিভিতে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে, চ্যানেল২৪-এ বিকেল ৫টায় এবং এটিএন নিউজে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে।

সিআরআই-এর ট্রাস্টি এবং 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'-এর প্রযোজক রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক তার অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টের মাধ্যমে সকলকে ডকুড্রামাটি দেখার আহ্বান জানান।

স্টার সিনেপ্লেক্সে ১৫ নভেম্বর প্রিমিয়ার শো'র মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'। দর্শকদের জন্য স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, মধুমিতা সিনেমা হল এবং সিলভার স্ক্রিনে প্রদর্শনী শুরু হওয়ার পর থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহে বক্স অফিসে সবচেয়ে সফল ছিলো ডকুড্রামাটি। দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে পরবর্তী সময়ে সারা দেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের আরো ৩৫টি সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় 'হাসিনা: এ ডটারস টেল' ডকুড্রামা। পরে দর্শক চাহিদার কথা বিবেচনায় এনে ডকুড্রামাটি টেলিভিশন চ্যানেলেও সম্প্রচার করা হয়। সেখানেই দর্শক জনপ্রিয়তা পায় 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের মুখ থেকে তার বিদেশ জীবন, দেশে ফিরে আসার কথা শোনা যায় এই চলচ্চিত্র। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথাও এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়, বরং এই ডকুড্রামার মূল উপজীব্য বিষয় ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

'হাসিনা: এ ডটারস টেল' চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রটির আরেকজন প্রযোজক হচ্ছেন- নসরুল হামিদ বিপু। পরিচালনা করেছেন অ্যাপল বক্স ফিল্মসের পিপলু খান।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহল আছে সবার। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর কীভাবে তিনি বেঁচে ছিলেন তার ইতিহাস অনেকের কাছেই অজানা। আর সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের মুখে বর্ণনা করা তার জীবনের অজানা কথাগুলো নিয়ে নির্মিত এই ডকুড্রামা দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছে। দেশে ও বিদেশে এখনো ডকুড্রামাটির চাহিদা রয়েছে বলে জানান এর পরিবেশক গাউসুল আজম শাওন। আর সে কারণেও বিটিভির পাশাপাশি বিটিভি ওয়ার্ল্ডেও সম্প্রচার করা হচ্ছে ডকুড্রামাটি।