- বিনোদন
- 'পেশাদার শিল্পী হলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে'
'পেশাদার শিল্পী হলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে'

অভিনেতা মোস্তফা মনোয়ার
মোস্তফা মনোয়ার। অভিনেতা ও গল্পকার। সম্প্রতি অনলাইনে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ওয়েব সিরিজ 'লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান'। এই ওয়েব সিরিজে কাজের অভিজ্ঞতা, অভিনয় নিয়ে ভাবনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে-
'লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান' ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের সময় কি মনে হয়েছে এটি দর্শকের মাঝে এতটা সাড়া ফেলবে?
পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মুখে 'লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান'-এর গল্প শুনেই মনে হয়েছিল, ভিন্ন ধাঁচের একটি কাজ হবে। অভিনয়ের পর সিরিজটি নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছিলাম। এখন দর্শকের ভালো লাগায় মনে হচ্ছে, কাজ নিয়ে আমার যে ধারণা ছিল, তা ভুল নয়।
আপনার 'লাইফ ফ্রম ঢাকা' ছবির সাজ্জাদ চরিত্র নিয়েও অনেক আলোচনা শোনা গেছে। এই চরিত্রের জন্য কি আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?
সাজ্জাদ চরিত্রে অভিনয়ের এক মাস আগে থেকে স্ট্ক্রাচে ভরে দিয়ে হাঁটার প্র্যাকটিস করেছি। এমনকি অফিসেও গিয়েছি স্ট্ক্রাচে ভর দিয়ে। নির্মাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ এবং আমি দু'জনেই চেষ্টা করে গেছি চরিত্রটি দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার।
অন্যান্য নাটক, ছবিতে অভিনয়ের সময়ও কি একই চেষ্টা ছিল?
আমি বছরে দু-তিনটির বেশি কাজ করি না। তাই যে কাজই করি, সেখানে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা থাকে।
বেশ কয়েক বছর ধরে অভিনয় করছেন। আলোচিত ও গুণী নির্মাতাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও আছে। তার পরও দর্শকের কাছে পরিচিতি পেতে এত সময় লাগার কারণ কী বলে মনে হয়?
অনেক দিন ধরে অভিনয় করছি, এটা সত্যি। কিন্তু ক'টা কাজ করেছি সেটাও দেখতে হবে। এত অল্প কাজ করে পরিচিতি পেয়ে যাব- এই আশা কখনও ছিল না। যেগুলো করেছি, তা দর্শকের মনে কতটা ছাপ ফেলেছে সেটাই ছিল দেখার। আমার অভিনীত নাটক, ছবি দর্শকের ভালো লেগেছে- এটাই আত্মতৃপ্তির। অনেক দর্শকের চোখে আমি এখনও নবাগত। কিন্তু এ নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই।
আপনার এ সময়ের ছবি ও সিরিজগুলো যে পরিচিতি এনে দিয়েছে এর সুবাদে অভিনয় পেশা হিসেবে নেওয়ারও সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন কি পেশাদার অভিনেতা হিসেবে কাজ করতে দেখা যাবে?
পেশাদার শিল্পী হলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক কাজ করতে হবে। যখন টাকার খুব প্রয়োজন হবে, তখন তো অভিনয়ের বাইরে আর কোনো পথও খোলা থাকবে না। তখন যে ভালো কাজের মধ্য দিয়ে পেশাদারি টিকিয়ে রাখা যাবে- এই নিশ্চয়তা কোথায়। তাই এখন বা অন্য যে কোনো সময়ই সুযোগ আসুক না কেন, অভিনয় পেশা হিসেবে নেওয়ার ইচ্ছা নেই। তবে এটাও ঠিক, অভিনয় পেশা হিসেবে না নিলেও তা নিয়মিত করতে চাই। কারণ 'নর্থ-সাউথ সিনে অ্যান্ড ড্রামা' থিয়েটার করতে গিয়ে অভিনয়ের প্রতি যে দুর্বলতা তৈরি হয়েছে, তা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারিনি। অভিনয় ম্যানিয়াকও হয়ে পড়েছি বলেই বছরে একটা-দুটো হলেও নাটক, ছবি বা সিরিজে অভিনয় করতে চাই।
এক সময় লেখালেখি করেছেন। নাটকের চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কৃতও হয়েছেন। কিন্তু এখন আর আপনার লেখালেখি সেভাবে চোখে পড়ে না, কারণ কী?
বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকের চাকরি আর অভিনয় ব্যস্ততার জন্য অনেক দিন লেখালেখিতে মনোযোগ দিতে পারিনি। ভাবছি, একটু সময় নিয়ে আবার লেখালেখি শুরু করব।
লেখক, অভিনেতার পাশাপাশি আপনাকে কখনও নির্মাতা হিসেবে দেখা যাবে?
নির্মাণের ইচ্ছা ও স্বপ্ন দুটোই আছে। পর্দায় নিজের গল্প তুলে ধরতেই নির্মাণে আসব। আমার ধারণা, দর্শককে নিজের গল্প যেভাবে দেখাতে চাই, সেভাবে অন্য নির্মাতারা হয়তো তা পর্দায় তুলে ধরবেন না।
মন্তব্য করুন