- বিনোদন
- মুগদায় পারিশ্রমিক চাইতে গিয়ে খুন হন নাসির
মুগদায় পারিশ্রমিক চাইতে গিয়ে খুন হন নাসির
২৪ ঘণ্টার মধ্যে চার আসামি গ্রেপ্তার

নাসির খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: সমকাল
কোরবানির ঈদে কসাইয়ের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন মো. নাসির। গত বুধবার রাতে তিনি রাজধানীর উত্তর মুগদায় কসাই মোস্তাক ফকির বাঘার কাছে পারিশ্রমিক চাইতে যান। কিন্তু টাকা তো জোটেইনি, উল্টো গরু কাটা ছুরি দিয়ে তাকে কোপানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকালে মৃত্যু হয় তার।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যায় মূল অভিযুক্ত মো. রিপনসহ এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুগদা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার অপর তিনজন হলো মো. খোকন, মো. মোস্তফা ও মোছা. খুকি।
মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা সমকালকে বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উত্তর মুগদার ১২২ নম্বর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। সেদিন নাসির টাকা চাইতে গেলে বাঘা, রিপন, খোকন, মোস্তফা, খুকি ও শামীমের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে বাঘার নির্দেশে রিপন ছুরি দিয়ে নাসিরের পেছনে আঘাত করে। গুরুতর জখম অবস্থায় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন নাসিরের স্ত্রী বাদী হয়ে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে মুগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে হত্যাচেষ্টাসহ মারামারির একটি মামলা হয়।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি নাসিরকে পরে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে সেখানে আইসিইউতে কোনো বেড খালি না পাওয়ায় তাকে নেওয়া হয় গ্রিন রোডের ইউনি হেলথ স্পেশালাইজড হাসপাতালে। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে নাসির মারা যান। এ ঘটনায় আগের মামলার সঙ্গে হত্যার অপরাধের ধারা যুক্ত করা হয়।
আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিএমপির সবুজবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম মোঃ আখতারুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক টিম গঠন করা হয়। তাদের সম্মিলিত চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মূল অভিযুক্ত রিপনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক দু'জনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন