- বিনোদন
- 'আমার বাবা হিন্দু, মা মুসলিম আর আমরা বহুধর্মী'
'আমার বাবা হিন্দু, মা মুসলিম আর আমরা বহুধর্মী'

শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে মুম্বাইয়ের মাদক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার (এনসিবি) তদন্ত কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে।
সম্প্রতি তার বিয়ের একটি ছবি প্রকাশ করেছেন ভারতের মহারাষ্ট্রের উন্নয়নমন্ত্রী নবাব মালিক। এবার সমীরের ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের চাকরি এবং সেই চাকরি পাওয়ার জন্য তথ্যগত ‘দুর্নীতি’র আশ্রয় নেওয়ার বিষয় তুলে ধরতেই ছবিটি প্রকাশ করেছেন।
সমীরের বিয়ের ছবিটি বুধবার সকাল ৭টা ৪১ মিনিটে টুইটারে প্রকাশ করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা নবাব। বর্ণনায় কিছুটা ব্যঙ্গের সুরেই লেখেন, এক মিষ্টি দম্পতির ছবি। সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে এবং চিকিৎসক শাবানা কুরেশি। এখনকার এনসিবি কর্তা সমীর ২০০৬ সালের ওই ছবিতে একজন অল্পবয়সী যুবক। বিয়ের দিন প্রথম স্ত্রী শাবানাকে নিয়ে ছবিটি তুলিয়েছিলেন তিনি।
ওই ছবি এবং তার পরে সমীরের মুসলিম মতে বিয়ের সার্টিফিকেট বা নিকাহনামা প্রকাশ করে নবাব জানিয়েছেন, সমীরের ধর্ম নিয়ে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। তিনি শুধু চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চান, সমীর একজন অসৎ ব্যক্তি। যিনি চাকরির প্রয়োজনে খাতা-কলমে নিজের ধর্ম কিংবা জাতি বদলে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করেননি।
সমীর হিন্দু নাকি মুসলিম এ প্রশ্ন যখন গোটা ভারতীয়দের মনে প্রশ্ন তৈরি করেছে তখনই সমীর খুললেন। তিনি তার একটি বিবৃতি দাখিল করেছেন, যেখানে তিনি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, এটি গোপনীয়তার আক্রমণ। ধর্মের প্রসঙ্গে বলেন, আমরা বহুধর্মী ও ধর্ম নিরপেক্ষা পরিবার। তিনি বলেন, আমার বাবা হিন্দু মা মুসলিম। ২০০৮ সালেরর ব্যাচের এই কর্মকর্তা বলেন, যে তথ্য ও ছবি টুইটারে প্রকাশ করা হয়েছে তা মানহানিকর ও আমার পরিবারের গোপনীয়তার লঙ্ঘন।
সমীর তার বিয়ে প্রসঙ্গে ওই বিবৃতিতে বলেন, আমি ২০০৬ সালে শাবানা কুরেশিকে ভারতীয় বিশেষ বিবাহ আইন ১৯৫৪ মতে করি। পরে সিভিল কোর্টে ২০১৬ সালে আমরা মিউচুয়ালি তালাকের আবেদন করি এবং আলাদা হয়ে যাই। ২০১৭ সালে আমি শ্রীমতি ক্রান্তি দিনানাথকে বিয়ে করি।
নবাব বলেছিলেন, এনসিবির রেকর্ডে সমীরের বাবার নাম জ্ঞানদেব ওয়াংখেড়ে লেখা থাকলেও আসলে তার নাম দাউদ। নবাবের দাবি অবশ্য তখন অস্বীকার করেছিলেন সমীরের বাবা। বুধবার সকালে ছবিটি প্রকাশ করার পর অবশ্য তাদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। বুধবার নবাব এ-ও বলেন, ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর সমীর এবং শাবানার বিয়েতে দ্বিতীয় সাক্ষী ছিলেন তাঁর বোন ইয়াসমিনের স্বামী আজিজ খান।
নবাবের অভিযোগের পাশাপাশি সমীরের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকার একটি ঘুষ কেলঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে। মুম্বাইয়ের মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সইল একটি হলফনামা প্রকাশ করে সোমবার জানিয়েছিলেন, আরিয়ানকে রেহাই দেওয়ার জন্য শাহরুখ খানের ম্যানেজার এবং বেসরকারি গোয়েন্দা কিরণ গোসাভির মধ্যে কোনো চুক্তি হয়েছিল। যে বিষয়ে গোসাভির কথোপকথনে তিনি স্পষ্ট শুনেছিলেন সমীরের নাম।
সূত্র-এএনআই, ইকোনো্মিক টাইমস
মন্তব্য করুন