সংগীতশিল্পী শায়ান চৌধুরী অর্ণব। দুই বাংলার অনথম জনপ্রিয় শিল্পী তিনি। গত বছর  সংগীতশিল্পী সুনিধি নায়েককে বিয়ে করেন তিনি। ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে তাদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়। বিয়ের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। আর দিনটিকে বেশ স্মরণে রেখেছেন অর্ণব। স্ত্রী সুনিধিকে ব্যাপক ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে। 

শত ভালোবাসার প্রকৃতি এঁকে পোস্ট করেছেন করেছেন, পোস্ট করেছেন স্ত্রী গালে চুম্বনরত একটি ছবি-। লিখেছেন, হ্যাপি অ্যানিভার্সারি নশাই...  এরপরেই ভালোবাসা কিংবা ভার্ট সম্বলিত চিহ্নগুলো। লিখেছেন, আই লাভ ইউ সো মাচ। ইংরেজি অক্ষরে সো লেখার পূর্বে অনেকগুলো ও ব্যবহার করেছেন। যা দিয়ে অর্ণব ভালোবাসার ব্যাপ্তি বোঝাতে চেয়েছেন। এরপরে লিখেছেন, 'তুই ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলি আমার ছোট দুনিয়া।' 


শান্তিনিকেতনে পড়ার সময় পরিচয় হয় শাহানা বাজপেয়ীর সঙ্গে। শাহানার জন্য পুরো একটি রবীন্দ্র সঙ্গীতের অ্যালবামের সংগীত ডিজাইন করেছিলেন অর্ণব। শাহানার সঙ্গের সম্পর্ক চুকে গেলেও সেই রবীন্দ্র সঙ্গীতের অ্যালবামের সকল গান এখনো জনপ্রিয় শ্রোতাদের কাছে।  তবে বিচ্ছেদের পর দীর্ঘদিন ডুব দেন অর্ণব।  বিয়ের পর আবার 

 বছর খানেক আগে  অর্ণবের সঙ্গে এক তরুণীর দেখা মেলে। প্রেম কি না, ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না। তরুণীর নাম সুনিধী।  দেশের একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনেও একসঙ্গে দুজন অংশ নেন। তখনও স্পষ্ট ছিল না প্রেমের বিষয়টি। তবে গত বছর যখন একেবারে বিয়ের ঘোষণা দেন অর্ণব, ঠিক অর্ণব নন। মিথিলা, অর্ণবের কাজিন- জানালেন তার বিয়ের কথা।

সুনিধি নায়েক ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীতে স্নাতকোত্তর পড়েছেন। তিনি একজন পেশাদার এসরাজ বাদক। বাজাতে জানেন হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সংগীত। আসামে জন্ম নেওয়া সুনিধির সঙ্গে বিশ্বভারতীতেই পরিচয় অর্ণবের। বিশ্বভারতীতে আয়োজিত ‘রবি অ্যান্ড র‍্যাবি’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে সুনিধির কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীত শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন অর্ণব। শুভকামনা জানিয়ে সেই মুগ্ধতা প্রকাশও করেছিলেন তিনি। সেই পরিচয় থেকেই দিনে দিনে একে অপরের সুরসঙ্গী হয়ে উঠেন।