- বিনোদন
- শ্রোতাদের রুচি বদল তো আমাদের হাত দিয়েই হয়: কৃষ্ণকলি
শ্রোতাদের রুচি বদল তো আমাদের হাত দিয়েই হয়: কৃষ্ণকলি

কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম। নন্দিত কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার। আজ রাতে বেঙ্গল শিল্পালয়ে 'সজনে ও শেকড়ে' অনুষ্ঠানে গাইবেন তিনি। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের এ আয়োজন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে-
'সৃজনে ও শেকড়ে' অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় গানের পাশাপাশি নতুন কোনো গান শোনাবেন কি?
নতুন ১০টি গান তৈরি করেছি। তার কিছু গান আজ শ্রোতাদের শোনাব। যারা নতুন গান শোনার জন্য প্রতীক্ষায় থাকেন, আজকের আয়োজনে তাদের প্রত্যাশা কিছুটা হলেও পূরণ হবে বলে আমার ধারণা। যে গানগুলো শ্রোতা সব সময় শুনতে চান, জনপ্রিয় সেসব গান তো না গাইলেই নয়।
কয়েকটি নতুন গান তৈরি করছেন, কিন্তু প্রকাশ করছেন না কেন?
গান প্রকাশ করেও শিল্পী হিসেবে যদি নিজের প্রাপ্যটা হাতে না পাই, তাহলে কেন প্রকাশনা ধরে রাখব? আমার অনেক গান বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার হচ্ছে। তার বিনিময়ে আমি কিছুই পাইনি। আমার সমসাময়িক এবং অগ্রজ শিল্পী ও সংগীতায়োজক অনেকেই প্রাপ্য রয়্যালিটি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যেজন্যই গান প্রকাশ নিয়ে একটু আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে।
এখন তো আপনার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল আছে, তাহলে গান প্রকাশ নিয়ে এত ভাবনা কেন?
নিজের ইউটিউব চ্যানেল থাকলেও গান প্রকাশের জন্য কোনো না কোনো কোম্পানির দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। ভাগ দিতে হচ্ছে রয়্যালিটির। এদিক থেকে এ সময়ের শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের অনেক স্মার্ট বলা যায়। তারা ডিজিটাল মাধ্যমে গান প্রকাশের প্রক্রিয়া ভালোভাবে রপ্ত করতে পেরেছেন। আমার মতো অনেকেই এ বিষয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছেন। তাই বুঝেশুনে প্রতিটি ধাপে পা ফেলতে হচ্ছে।
অনেকে যখন জনপ্রিয়তা পুঁজি করে নানা ধরনের আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন, তখন আপনাকে একটু দূরে সরে থাকতে দেখা গেছে। এর কারণ কী?
জনপ্রিয়তার দোহাই দিয়ে কেউ কোনো কিছু চাপিয়ে দিলেই তা মেনে নেব কেন। শ্রোতার রুচি বদল তো আমাদের হাত দিয়েই হয়, তাহলে কেন সস্তা জনপ্রিয়তার দিকে ছুটতে হবে। গানের নিজস্বতা ধরে রাখতে চাই এটা সত্যি। আবার এটাও সত্যি, সব সময় নিজস্বতা ধরে রেখেই গানের মূলধারায় যেতে চেয়েছি। শিল্পী হিসেবে আমার আকাঙ্ক্ষা সব শ্রেণির শ্রোতার কাছে পৌঁছানো। তাই বলে যে কোনো ধরনের গান গেয়ে নিজেকে তুলে ধরতে চাই না।
অনেক দিন গানের ভুবনে আপনার দেখা মেলেনি, করোনার জন্য নাকি অন্য কোনো কারণে এই দূরে থাকা?
এটা সত্যি, করোনার জন্য আমরা কমবেশি সবাই গানের ভুবনে পা রাখতে পারিনি। তবে করোনা ছাড়াও কিছু গান প্রকাশের বিষয়ে এক ধরনের হতাশা ছিল, যেজন্য অনেক দিন দূরে সরে ছিলাম। কিন্তু গানের মানুষরা তো গান ছেড়ে দূরে থাকতে পারে না। আমার বেলায় সেটাই সত্যি বলে প্রমাণ হলো। তাই আবার গানের ভুবনে ফিরলাম, নতুন উদ্যমে কাজ করে যাওয়ার জন্য।
এখন কি তাহলে নতুন গান প্রকাশের পাশাপাশি প্লেব্যাক ও অন্যান্য মাধ্যমে গাইতে দেখা যাবে?
আমরা অনেক সময় হাসির ছলে বলি, প্রতিষ্ঠানের বায়নায় আমাদের গাইতে হয়, তারা বায়না করলে আমরা গাইব। বাস্তবতা অনেকটা এই কথার সঙ্গে মিলে যায়। সে যাই হোক, আসল কথা হলো, বিরতি ভেঙে গানের ভুবনে ফিরেছি, সব মাধ্যমেই গাইতে চাই।
মন্তব্য করুন