১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম'। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ঢাকার দর্শকদেরও ছবিটি নিয়ে উন্মাদনা কম নয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঢাকায় প্রতিদিন এই সিনেমার ৬১টি প্রদর্শনী হচ্ছে, যার মধ্যে ৫৩টি স্টার সিনেপ্লেক্সে ও ৮টি যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে। 

প্রতিবারের মতো এবারও সারা বিশ্বের সব বয়সীদের মুগ্ধতার 'জালে' জড়িয়ে ফেলেছে এই 'ফ্রেন্ডলি নেইবারহুড স্পাইডারম্যান'।

'স্পাইডারম্যান' চরিত্রে অভিনয় করা হলিউড তারকা টম হল্যান্ডের জনপ্রিয়তা দর্শকদের মধ্যে এখন তুঙ্গে। বাংলাদেশেও উন্মাদনার এই ঢেউ আছড়ে পড়েছে। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি, ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ার, মহাখালীর এসকেএস টাওয়ার ও মিরপুরের সনি স্কয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখায় চলছে স্পাইডারম্যান।

এ ছাড়া রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাসেও প্রতিদিন দর্শকরা লাইন দিচ্ছে স্পাইডারম্যান : নো ওয়ে হোম দেখার জন্য। 

ছবিটির টিকিটের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ মার্কেটিং ম্যানেজার মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'স্পাইডারম্যানের নতুন  ছবিটি আসার পূর্ব থেকেই আমরা দর্শকদের আগ্রহ খেয়াল করি। আমাদের সব টিকিটই অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে।' 

তিনি বলেন, 'বসুন্ধরা সিটির ৬টি স্ক্রিনে ১৯টি, সীমান্ত স্কয়ারের তিনটি থিয়েটারে ১১টি, মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের তিনটি থিয়েটারে ১১টি, সনি স্কয়ারের তিনটি থিয়েটারে ১৩টি করে মোট ৫৩টি শো হচ্ছে এবং বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রতিটি শো হাউজফুল।'

রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ব্লকবাস্টার সিনেমাসে প্রতিদিন ৮টি করে প্রদর্শনী হচ্ছে জানিয়ে কাস্টমার কেয়ার এক্সিউকিউটিভ তৌফিক আহমেদ বলেন, শুক্রবার ও শনিবারের টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। রোবিবারের প্রথম শো-তে কয়েকটি সিট ফাঁকা ছিল। বাকি শোগুলোতে দর্শক কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। 

‘অ্যাভেঞ্জার্স : এন্ডগেম’ এবং ‘স্টার ওয়ার্স : দ্য রাইস অব স্কাইওয়াকার’-এর টিকিট নিয়ে এমন কাড়াকাড়ি দেখা গিয়েছিল। করোনাকালে বিশ্বের বিপর্যস্ত সিনেমা থিয়েটার ব্যবসায় এ দ্রুত টিকিট বিক্রিকে আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে। করোনাকালীন সংকট কাটিয়ে নো টাইম টু ডাই, ভেনম : লেট দেয়ার বি কার্নেজ ও সাং চির মতো বড় বাজেটের সিনেমাগুলোর মুক্তিতে ধীরে ধীরে বক্স অফিসের খরা কাটতে শুরু করেছে।