২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম এফডিসি। তারকাদের আনাগোনায় মুখর সিনেমার আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত এ আঙিনা। পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, তর্ক-বির্তকও চলছে সমানতালে।  নির্বাচনের এমন আমেজে প্রথমবার এফডিসিতে দেখা গেলো অভিনেতা আলমগীরকে। 

বৃহস্পতিবার এফডিসিতে মসজিদ উদ্বোধন হলে সেখানে অতিথি হিসেবে আসেন তিনি। মঞ্চে বসেন, বক্তব্যও দেন। সে সময় এফডিসির মসজিদদাতা আবদুল কাদির মোল্লাকে নায়ক আলমগীর  সম্ভব হলে চলচ্চিত্রের পাশে দাঁড়ানোরও অনুরোধ করেন। মঞ্চে সে সময় ইলিয়াস কাঞ্চনও উপস্থিত ছিলেন। 

মসজিদ উদ্বোধনের আয়োজন শেষ করে আলমগীর ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে চলে যান শিল্পী সমিতির সামনে মিশা-জায়েদ প্যানেলের নির্ধারিত স্থানে। সেখানে আলমগীর ও ইলিয়াস কাঞ্চন উভয় জায়েদের খোঁজ খবর নেন। খবর নেন উপস্থিত অন্যদেরও।  এ সময় আলমগীর ও ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে নির্বাচন নিয়ে কাদাছোড়াছুরির নানা বিষয়ে অভিযোগ করেন জায়েদ। পাশাপাশি শিমু হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার নাম জড়ানোয় কতিপয় লোকের বিষয়েও অভিযোগ করেন তিনি। জায়েদ খানের সকল অভিযোগ মনোযোগসহকারে শুনেন আলমগীর ও ইলিয়াস কাঞ্চন।  সে সময় উভয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার কিছু পরামর্শও দেন তারা।

সেখান থেকে নায়ক আলমগীর  ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের নির্ধারিত স্থানে চলে আসেন। সেখানে বেশ খানিকটা সময় কাটান আলমগীর। তাকে পেয়ে রিয়াজ ,নিপূণ, সাইমন, ইমন ও নিরব সবাই আনন্দে মেতে উঠেন। তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ খোশ গল্পে  মাতেন আলমগীরও। এই সময় সবাইকে সুন্দর পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান করেন ঢাকাই ছবির বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। 

এবারের নির্বাচনে নির্বাচন করছে দুইটি প্যানেল। একটি ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল অন্যটি  মিশা সওদাগর -জায়েদ খান প্যানেল।  

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অভিনেতা পীরজাদা হারুন। তার সঙ্গে থাকবেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের ভূমিকায় দেখা যাবে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে। এই বোর্ডের সদস্য হিসেবে আছেন মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন।