১৫তম 'আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ২০২২' এর পর্দা নামলো। 'ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন' শ্নোগানে চিলড্রেন'স্‌ ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ এর আয়োজনে গত ৫ মার্চ থেকে ঢাকার আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে শুরু হয়েছিল ৭দিন ব্যাপী এই চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবের শেষ দিন আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় চলচ্চিত্র দেখতে আসেন শিশু-কিশোর, অভিভাবকসহ সববয়সী মানুষ। বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এর প্রজেকশন হলে উৎসবের সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এবার ৪টি প্রতিযোগিতা বিভাগে পুরষ্কার পায় ৯টি চলচ্চিত্র। বাংলাদেশি শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে ৩টি, আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে ১টি, বাংলাদেশি তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে ২টি ও আন্তর্জাতিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র বিভাগে ৩টি চলচ্চিত্র পুরষ্কার পায়। পুরষ্কার হিসেবে ছিল ক্রেষ্ট, সনদ ও আর্থিক প্রণোদনা।

সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিজয়ী ক্ষুদে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খাইরুল আমীন। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এর মহাপরিচালক মোঃ নিজামুল কবীর, পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মোফাকখারুল ইকবাল, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, নির্মাতা রাকা নওশিন নাওয়ার এবং চিলড্রেন'স্‌ ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা মোরশেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুন্‌নী।

এবার ঢাকার ১টি ভেন্যু বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে ৩৮টি দেশের ১১৭টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হয়। উৎসবের সকল প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সিনেমা দেখার জন্য কোনো ধরণের প্রবেশমূল্য না থাকলেও গত বছরের ন্যায় এবছরও মাস্ক পরিধানকে চলচ্চিত্র উৎসবের টিকেট হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এই চলচ্চিত্র উৎসবে ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩৮টি দেশের নানান স্বাদের চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পায়, উৎসব উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিনামূল্যে যাতায়াতের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করেন উৎসব কতৃর্পক্ষ। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের চলচ্চিত্র দেখানো হয়।
একনজরে 'আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ২০২২' এর পুরস্কার পেলো যারা
বাংলাদেশি শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগ
প্রথম: 'শহরটা ঢাকা', নির্মাতা সাফিফ ইসলাম ও সাইয়েদা আভা।
দ্বিতীয়: 'আ গুড এন্ডিং', নির্মাতা মোহাম্মদ নিয়াজ হাসান।
তৃতীয়: 'ফ্রেমস', নির্মাতা সিফাত আহমেদ সামির ও সিয়ামুন হোসেন শুভ।
আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগ
ক্রিপি (জার্মানি)
বাংলাদেশি তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগ :
চলচ্চিত্র 'অশ্নেষা', নির্মাতা আকিব মাহমুদ (বিজয়ী)
চলচ্চিত্র 'সমাপন কাব্য', নির্মাতা ফারহান সাদিক ফাহিম (রানারআপ)
আন্তর্জাতিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র বিভাগ :
সেরা চলচ্চিত্র, মিয়াও অর নেভার (যুক্তরাষ্ট্র)
সেরা ফিচার ফিল্ম, নেইবারস (সুইজারল্যান্ড)
সেরা নির্মাতা, মিয়াও অর নেভার (যুক্তরাষ্ট্র)