বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হলে বিএফডিসিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনবেন বলে জানিয়েছিলেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। কিন্তু নির্বাচনের পর সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ-নিপুণের  জয়-পরাজয়ের বিষয়টি রয়েছে আদালতের টেবিলে।  

সাধারণ সম্পাদক পদের অমিমাংসিত অবস্থাতেও নিপুণ বললেন, 'আমি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীকে এখানে (এফডিসিতে) আনব। আমি মনে করি উনি (প্রধানমন্ত্রী) পা দিলেই এফডিসি সোনা হয়ে যাবে।'

গতকাল এফডিসিতে নানা আয়োজনে উদযাপন হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী। নায়ক আলমগীরের নেতৃত্বে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আয়োজনে দিনভর চলে অনুষ্ঠান। এই আয়োজনের এক ফাঁকে সমকালকে কথাগুলো বলেন নিপুণ।

নিপুণ বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আমাদের এখনও কিছু আইনি জটিলতা আছে। আইনি জটিলতা যখন শেষ হয়ে যাবে তখন আমরা নিজেরা গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। আর আপনারা জানেন উনি এখনও শ্বশরীরে সাধারনণত অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন না। তাই এ বিষয়ে অপেক্ষা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে আনার বিষয়টি কিন্তু আমরাদের ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট ছিলো। তাই আমরা এটা নিয়ে প্রক্রিয়া চালাচ্ছি।'

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে চলচ্চিত্র নিয়ে প্রথমে কোন কথাটি বলতে চান আপনি? এমন প্রশ্নের উত্তরে নিপুণ বলেন,''মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একটা কথাই বলতে চাই- আপনি একবার এফডিসিতে আসবেন।' আপনারা তো জানেন  উনি যেখানে পা দিবেন সেখানে সোনা হয়ে যায়। তাই আমি মনে করি যে এফডিসিটা খরা হয়ে আছে উনি পা দিলেই সেই এফডিসি সোনা হয়ে যাবে।''

এফডিসিতে দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের আয়োজন করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠন নিয়ে গঠিত সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ। নেতৃত্বে থাকেন নায়ক আলমগীর।  তারকাসহ নানা সংগঠনের নেতাকর্মীদের আনাগোনায় এফডিসি আজ মিলনমেলায় রূপ নিয় দিনটিতে। 

আয়োজন নিয়ে নিপুণ জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকীর আয়োজন শুরু এফডিসির মসজিদে কোরআন খতমের মাধ্যমে। দিনব্যাপী চলে আয়োজনের কর্মসূচি।  ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারেও গিয়েও শিল্পী সমিতির সবাই ফুল দিয়ে আসি। সাধারণ ভোজেরও ব্যবস্থা ছিলো। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।