বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের 'হল অব ফেম'-এ আগামী কাল বসতে যাচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের আসর। সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে এ আয়োজন। যেখানে  জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেওয়া হবে 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০' এর পদক।

করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। পূর্বঘোষিত ২৭টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রতিবারের মতো এবারও দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন। প্রথম পর্বে বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্বে থাকবে সাংস্কৃতিক আয়োজন।

এবারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করবেন অভিনেত্রী রোজিনা, নূতন, অরুণা বিশ্বাস। এ সময়ের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে থাকছেন বিদ্যা সিনহা মিম, তমা মীর্জা, ইমন, সাইমন, পূজা চেরী ও দীঘি।

আয়োজনে গান পরিবেশন করবেন আবিদা সুলতানা, রফিকুল আলম, মমতাজ, লুইপা, প্রতীক হাসান, অনুপমা মুক্তি। 

সাদিয়া ইসলাম মৌ ও তার দলের একটি নৃত্য পরিবেশনাও থাকছে এবারের আয়োজনে।  

চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখায় এবার আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ ও অভিনেত্রী আনোয়ারা। ২০২০ সালের সেরা ছবি হিসেবে যুগ্মভাবে নির্বাচিত হয়েছে গাজী রাকায়েতের 'গোর' ও চয়নিকা চৌধুরীর 'বিশ্বসুন্দরী'। এবারের আসরে সর্বোচ্চ ১১ বিভাগে পুরস্কার পাচ্ছে 'গোর'। আটটি বিভাগে পুরস্কার পাচ্ছে 'বিশ্বসুন্দরী' ও তিনটি বিভাগে 'গণ্ডি'। এবারের আসরে 'বিশ্বসুন্দরী' ছবির জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাচ্ছেন সিয়াম আহমেদ এবং সেরা অভিনেত্রী হিসেবে 'গোর' সিনেমার জন্য দীপান্বিতা মার্টিন। সেরা স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র 'আড়ং' এবং প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছে 'বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়'।

এছাড়াও রাষ্ট্রীয় এই স্বীকৃতি পাচ্ছেন সেরা পরিচালক গাজী রাকায়েত হোসেন [গোর], সেরা পার্শ্ব অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু [বিশ্বসুন্দরী], সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষ [গণ্ডি], সেরা খল অভিনেতা মিশা সওদাগর [বীর], সেরা শিশুশিল্পী-মুগ্ধতা মোর্শেদ হূদ্ধি [গণ্ডি]।

অন্যদিকে শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার শাহাদৎ হাসান বাঁধন [আড়ং], সেরা সংগীত পরিচালক বেলাল খান [হৃদয় জুড়ে], সেরা নৃত্য পরিচালক প্রয়াত সহিদুর রহমান [বিশ্বসুন্দরী], সেরা গায়ক ইমরান মাহমুদুল [বিশ্বসুন্দরী], সেরা গায়িকা যৌথভাবে দিলশাদ নাহার কণা [বিশ্বসুন্দরী] ও সোমনুর মনির কোনাল [বীর], সেরা গীতিকার কবির বকুল [বিশ্বসুন্দরী], সেরা সুরকার ইমরান মাহমুদুল [বিশ্বসুন্দরী], সেরা কাহিনিকার গাজী রাকায়েত [গোর], সেরা চিত্রনাট্যকার গাজী রাকায়েত [গোর], সেরা সংলাপ রচয়িতা ফাখরুল আরেফীন খান [গণ্ডি], সেরা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম [গোর], সেরা শিল্প নির্দেশক উত্তম কুমার গুহ [গোর], সেরা চিত্রগ্রাহক যৌথভাবে পঙ্কজ পালিত [গোর] ও মাহবুব নিয়াজ [গোর], সেরা শব্দ গ্রাহক কাজী সেলিম আহমেদ [গোর], সেরা পোশাক ও সাজসজ্জা এনাম তারা বেগম [গোর], মেরা রূপসজ্বাকর মোহাম্মদ আলী বাবুল [গোর]।