গত ৬ মে মুক্তি পেয়েছে 'মিনি'। মিনির প্রিমিয়ারে বসেছিল চাঁদের হাঁট। মিমি চক্রবর্তী, আয়ান্না চ্যাটার্জি, মৈনাক ভৌমিক, তৃণা সাহা, সুদেষ্ণা রায় সহ ছিলেন অনেকে। 'মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি?' বা 'কীসের মাসি কীসের পিসি' এই সব প্রবাদের একেবারে উল্টোপথে হাঁটছে মৈনাক ভৌমিকের নতুন ছবি 'মিনি'। থ্রিলার, অ্যাকশনের মার মার কাট কাট বাজারে এই ছবি এমন এক সম্পর্কের কথা বলে যা চিরাচরিত প্রথাকে অনেকটাই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।

মায়ের থেকে তার বাচ্চাকে কেউ বেশি ভালবাসতে পারে না। এর বিপরীত কথা বলে। মাসি, বোনঝির সম্পর্কের টক-ঝাল মিষ্টি সম্পর্ক নিয়ে এই ছবি। স্বাধীনচেতা মাসি মিমি চক্রবর্তী ও বোনঝি অয়ন্না চট্টোপাধ্যায়। তিতলির প্রতিদিনের জীবনের ছবিটাই বদলে যায় তখন তাকে দায়িত্ব নিতে বোনঝি মিনির। হাসপাতালে অসুস্থ দিদির মেয়ের দায়িত্ব নিতে গিয়ে জীবনের প্রয়োজনগুলো বদলে যেতে থাকে তিতলির। দু'জন অসম বয়সীর বন্ধুত্ব, তাদের মতবিরোধ, চিন্তাভাবনাগুলো দুইয়ে দুইয়ে চার হতে থাকে গল্পের এগিয়ে চলার সঙ্গে।

এই ছবির মূল কথাই হলো বন্ধুত্ব। যে কোনও বয়সেই বন্ধুত্ব হতে পারে। যার মধ্যে দিয়ে মিলিয়ে দেওয়া যায় যে কোনও সমীকরণ। সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবির ট্রেলার সেই কথাই বলে। কলকাতার শপিং মলের ট্রেলার লঞ্চেও দেখা গেল দুজনের দুষ্টু-মিষ্টি খুনসুটির ছবি। পরিচালক মৈনাক ভৌমিক এই ছবি নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। ছবির শ্যুটিংয়ে মিনি ও অয়ন্নার সঙ্গে মৈনাকও খুব আনন্দ করেছেন। ‌'একটি বাচ্চা ও একজন প্রাপ্তবয়স্কর মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বের বিভিন্ন দিক দর্শকদের ভাল লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।' জানালেন মৈনাক।

অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী বলেন, 'মিনি আমার কাছে মৈনাকের দেওয়া দারুণ উপহার। এটা মৈনাকের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। মৈনাকের কাছ থেকে যখন তিতলি করার অফার পাই, তখন লকডাইন চলছিল। গল্পটা আমার দারুণ লেগেছিল। তিতলির কথা বলা, হাঁটাচলা, পোশাক পরা সবকিছুর মধ্যে আমি নিজেকে দেখতে পেয়েছিলাম। চরিত্রটা লেখার আগেই মৈনাকের আমার কথা মাথায় ছিল। এটা আমার কাছে এক বিরাট পাওনা।'