
নিউরোসার্জারি বিভাগ থেকে আয়াতকে আইসিইউতে পাঠানো হয় - সমকাল
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন ও মাইক্রোবাসের মধ্যে দুর্ঘটনায় আহত আরও একজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগ থেকে আহত আয়াতুল ইসলাম আয়াতকে (২০) আইসিইউতে হস্তান্তর করেন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে দু’জনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হলো। এর আগে শনিবার এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসমির হাসানকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এসএম নোমান খালেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি সমকালকে বলেন, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুর্ঘটনায় আহত নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আরও একজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তিনিসহ এ পর্যন্ত ওয়ার্ড থেকে দুইজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হলো। সোমবার আইসিইউতে ভর্তি করা আয়াতের অক্সিজেন সেচুরেশন ছিল ৮০-এর নিচে। দুর্ঘটনায় তার এক হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে। এছাড়াও তার শরীরে বেশকিছু ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
ডা. এসএম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন দু’জনকে এখনও শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। আমরা আহতদের সুস্থ করে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আহত আরেকজন তাসমির হাসানের শারীরিক অবস্থার এখনও তেমন পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ট্রেনের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে তার ঘাড়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাথা ও মস্তিষ্ক। স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না শ্বাস-প্রশ্বাসও। কয়দিন ধরে বাড়তি রয়েছে তার শরীরের তাপমাত্রাও।
এদিকে, চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সাতজনের মধ্যে মো. ইমনকে ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তিনি সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন চারজন।
গত শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের আরএনজে কোচিং সেন্টার থেকে মিরসরাই খৈয়ারছড়া ঝরনায় চালক-হেলপারসহ বেড়াতে যান ১৮ জনের একটি দল। ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসে থাকা ১১ জনের মৃত্যু হয়। এতে গুরুতর আহত হন সাতজন। নিহতদের মধ্যে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থীও ছিলেন।
মন্তব্য করুন