সংগীত মনকে করে আন্দোলিত। এ জন্য সংগীতশিল্পীদের আসন মানুষের অন্তরে। সুরের মহাকাশের তারকাদের সম্মাননা জানাতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে পদ্মা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে শেখ রাসেল সেনানিবাসে বসে ঐক্য-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের ১৭তম আসর।

অনুষ্ঠানে এ বছর আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় বরেণ্য সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে। তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ; সনদপত্র দেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর; চেক তুলে দেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ। আর উত্তরীয় পরিয়ে দেন ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীন আকতার রেনী।

এবার আধুনিক গান ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ শিল্পী ফাহমিদা নবী, সুরকার কিশোর দাস, গীতিকার আসিফ ইকবাল, ব্যান্ড রেনেসাঁ; শ্রেষ্ঠ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাটাগরিতে আমজাদ হোসেন বাপ্পী, শ্রেষ্ঠ লোকসংগীত শিল্পী (পল্লিগীতি ও মরমি) বাউল সুকুমার, ছায়াছবির গানে শ্রেষ্ঠ শিল্পী ইমরান মাহমুদুল, ছায়াছবির গানে শ্রেষ্ঠ সুরকার ইমন চৌধুরী, শ্রেষ্ঠ গীতিকার মীর সাব্বির, শ্রেষ্ঠ মিউজিক ভিডিওতে পিপলু আর খান ও সুস্মিতা আনিস, শ্রেষ্ঠ নজরুলসংগীত শিল্পী প্রিয়াঙ্কা গোপ, শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীতে শামা রহমান, শ্রেষ্ঠ নবাগত শিল্পী নুজহাত সাবিহা পুষ্পিতা এবং নজরুলসংগীত নিয়ে কাজ করায় বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয় সাদিয়া আফরিন মল্লিককে।

তিন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশু- রবা, টুংটাং ও আশিক উচ্চাঙ্গসংগীতে পুরস্কার পায়। সেরা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার জেতে টিএম রেকর্ডস। বিষয়ভিত্তিক গান ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ গীতিকার জুলফিকার রাসেল, সুরকার শফিক তুহিন ও শিল্পী ঝিলিক; ফোক ফিউশনে শ্রেষ্ঠ শিল্পী সাব্বির নাসির এবং দ্বৈতসংগীতে হাবিব ওয়াহিদ ও সিঁথি সাহার হাতে ওঠে পুরস্কার।

গত ১০ বছরের সেরা ছায়াছবির গানের ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল, সুরকার শফিক তুহিন ও কৌশিক হোসেন তাপস এবং শিল্পী চন্দন সিনহাকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, আবিদা সুলতানা, নকীব খান, কুমার বিশ্বজিৎ, সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, মমতাজ প্রমুখ। বিভিন্ন পারফরম্যান্সে অংশ নেন নুসরাত ফারিয়া, সিয়াম প্রমুখ।