কলকাতার রবীন্দ্র সদনে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী  ‘৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’। এখানে বাংলাদেশের ৩৭টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রথম দিনে সেখানে প্রদর্শিত হয়েছে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত বাংলাদেশের সাড়া জাগানো ছবি ‘হাওয়া’। ছবিটি দেখতে উপচে পড়েছে দর্শক। ছবিটির হয়ে সেখানে প্রতিনিধিত্ব করছেন চঞ্চল চৌধুরী। কলকাতায় ’হাওয়া’ এর সাফল্য ও নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে

কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ‘হাওয়া’ ছবির দর্শক আগ্রহ কেমন দেখছেন?

এক কথায় অসাধারন। এটা একদমই মুগ্ধ হ্ওয়ার মত বিষয়। হাওয়া দেখার জন্য দর্শকদের যে দীর্ঘ লাইন দেখলাম তাতেই অনুমেয় করতে পেরেছি এখনকার দর্শক ছবিটি দেখার জন্য কতটা মুখিয়ে ছিলেন বা আছে। 

‘হাওয়া’ দেখতে হলের সামনে ভিড় করছে কলকাতার দর্শকরা

মুক্তির এতোদিন পরও ছবিটির প্রতি দর্শকদের এতো আগ্রহ?

 কি বাংলাদেশে এখনও চলছে ছবিটি। কিছু দিনের মধ্যেই ছবিটি মুক্তির একশ’দিন হয়ে যাবে। এখনও সারা পৃথিবীতে যেখানে যত বাংলাভাষাবাসি আছেন তাদের সবার মধ্যেই ছবিটি নিয়ে আগ্রহ আছে। যারা দেখেননি তারা ছবিটি দেখার দেখতে চান। আমরা এখনও তাদের দেখার সুযোগ করে দিতে পারছি না। 

এটা কলকাতার উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে। সেখানকার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না কেনো?

এই উৎসবকে কেন্দ্র করে খুবই অল্প সংখ্যক দর্শক এটা দেখার সুযোগ পাচ্ছে। আমি মনে প্রাণে চাই কলকাতার যারা আগ্রহী দর্শক আছেন বাংলাদেশের কাজ দেখতে পছন্দ করেন বা দেখতে চান তারা সবাই হাওয়া দেখার সুযোগ পাক। কলকাতার দর্শকদের মতো আমিও সেখানকার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির অপেক্ষায় আছি। আশা করি শিগগিরই সে অপেক্ষার অবসান হবে। 

‘হাওয়া’ দেখতে হলের সামনে ভিড় করছে কলকাতার দর্শকরা

কলকাতার মুম্বাদার মতো অভিনেতা আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিষয়টি কেমন লাগে?

মুম্বাদা আমাকে অনেক স্নেহ করেন এবং ভালোবাসেন। প্রত্যেকটা কাজ দেখে উনি আমাকে টেক্স করেন বা ফোনে বলেন এটা আমার জন্য অনেক বড় উৎসাহের। যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। 

মুম্বাদার এই উৎসাহ আপনার চলার পথে কতটা প্রেরণা দেয়?

আমি মনি করি তার মত অগ্রজ ও এতো বড় মাপের একজন অভিনেতা আমাকে উৎসাহ দেন, আমার কাজ দেখেন, ভালোলাগা মন্দ লাগা শেয়ার করেন। আর কি লাগে জীবেন?  কারও মাথার উপর যদি উনার আর্শিবাদ বা উৎসাহের হাত থাকে তাহলে সেই উৎসাহ নিয়েই অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া যায়।