- বিনোদন
- খেলা শুধুই বিনোদনের জন্য হোক
খেলা শুধুই বিনোদনের জন্য হোক
মানুষ আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে অনায়াসে অনেক কিছু ছেড়ে দিতে পারে। সম্প্রতি বিশ্বকাপ ফুটবল বিশ্বজুড়ে তুমুল উত্তেজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে এ আমেজ যেন আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। যে কোনো খেলা শুধু বিনোদনের জন্য। কিন্তু আমরা খেলা উপভোগের মধ্যে সীমাবদ্ধতা রাখতে রাজি নই। অনেকে প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে নিজের ভিটেমাটি পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে পারে। বাঙালি এ রকম নজির সৃষ্টি করেছে বহুবার টাকা দিয়ে প্রিয় দলের পতাকা তৈরি করে। তারা টি-শার্ট পরে; পতাকা নিয়ে রাজপথে র্যালি বা মিছিল করে। অথচ নিজের দেশের পতাকার ক্ষেত্রে এমন ভালোবাসা দুর্লভ।
যখন সামান্য টাকা দিয়ে পাশের ঘরের অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে পারে না, তখন অন্য দেশের প্রতি আবেগ দেখাতে গিয়ে জমি বিক্রি করে ওই দেশের পতাকা তৈরি করা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। এটিই বাঙালির আবেগ। এই আবেগের মূল্য কখনও কি আমরা পেয়েছি?
কেউ তার প্রিয় দল নিয়ে গুণকীর্তনে ব্যস্ত। কেউ আবার প্রিয় খেলোয়াড়ের গুণকীর্তনে ব্যস্ত। এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে তর্ক করতেও দ্বিধা বোধ করে না। টাকা খরচ করে পাকা বাড়ি বা দেয়ালে প্রিয় দলের পতাকা আঁকতে দেখা যায়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে নিজ বাড়ির আঙিনার বড় বড় গাছে ভিনদেশি পতাকা উড়তে দেখা যায়। যাদের জন্য এ আবেগ, তাদের এসবের প্রতি ভ্রুক্ষেপ নেই। শুধু টাকা খরচ করেই শেষ নয়; প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকের প্রাণ বিসর্জনও হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে প্রিয় দলের পতাকা টানানোর সময় বিদ্যুৎস্পর্শে মৃত্যুর ঘটনা কাকতালীয় নয়। এমন দুর্ঘটনায় কখনও ভিনদেশিদের শোক দেখেছি?
প্রিয় দল হারলে অন্যদের কাছ থেকে খোঁচা খেতে হয়। এখন তো ফেসবুকে ঢুকতেই লজ্জা লাগে। যেখানে খেলা দেখে মস্তিস্ক সুস্থ রাখবে, সেখানে প্রিয় দল হারলে মানসিক চাপে থাকতে হয়। এর একটিই কারণ- অন্যের কটু কথা শোনা, যা বিনোদনবহির্ভূত।
আসুন, খেলাকে শুধু বিনোদনের স্থান থেকে উপভোগ করি। তাহলেই আনন্দ উপভোগ করা হবে।
শিক্ষার্থী :এমসি কলেজ, সিলেট
যখন সামান্য টাকা দিয়ে পাশের ঘরের অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে পারে না, তখন অন্য দেশের প্রতি আবেগ দেখাতে গিয়ে জমি বিক্রি করে ওই দেশের পতাকা তৈরি করা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। এটিই বাঙালির আবেগ। এই আবেগের মূল্য কখনও কি আমরা পেয়েছি?
কেউ তার প্রিয় দল নিয়ে গুণকীর্তনে ব্যস্ত। কেউ আবার প্রিয় খেলোয়াড়ের গুণকীর্তনে ব্যস্ত। এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে তর্ক করতেও দ্বিধা বোধ করে না। টাকা খরচ করে পাকা বাড়ি বা দেয়ালে প্রিয় দলের পতাকা আঁকতে দেখা যায়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে নিজ বাড়ির আঙিনার বড় বড় গাছে ভিনদেশি পতাকা উড়তে দেখা যায়। যাদের জন্য এ আবেগ, তাদের এসবের প্রতি ভ্রুক্ষেপ নেই। শুধু টাকা খরচ করেই শেষ নয়; প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকের প্রাণ বিসর্জনও হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে প্রিয় দলের পতাকা টানানোর সময় বিদ্যুৎস্পর্শে মৃত্যুর ঘটনা কাকতালীয় নয়। এমন দুর্ঘটনায় কখনও ভিনদেশিদের শোক দেখেছি?
প্রিয় দল হারলে অন্যদের কাছ থেকে খোঁচা খেতে হয়। এখন তো ফেসবুকে ঢুকতেই লজ্জা লাগে। যেখানে খেলা দেখে মস্তিস্ক সুস্থ রাখবে, সেখানে প্রিয় দল হারলে মানসিক চাপে থাকতে হয়। এর একটিই কারণ- অন্যের কটু কথা শোনা, যা বিনোদনবহির্ভূত।
আসুন, খেলাকে শুধু বিনোদনের স্থান থেকে উপভোগ করি। তাহলেই আনন্দ উপভোগ করা হবে।
শিক্ষার্থী :এমসি কলেজ, সিলেট
মন্তব্য করুন