বছরের শুরুতেই শিশুতোষ চলচ্চিত্র নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে আসছেন সিয়াম আহমেদ ও পরীমণি।  আবু রায়হান জুয়েল পরিচালিত প্রথম সিনেমাটি শিক্ষাবিদ-সায়েন্স ফিকশন লেখক ও খ্যাতিমান শিশুসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ থেকে নির্মিত হয়েছে। ২৫ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিলো সিনেমার প্রথম গান। 

মঙ্গলবার  রাজধানীর মহিলা সমিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অ্যাডভেঞ্চার অফ সুন্দরবন’ সিনেমার পোস্টার উন্মোচন ও ট্রেইলার প্রকাশ করা হয়।  এখানেই জানানো হয় ছবিটি নতুন বছরের ২০ জানুয়ারি মুক্তি পাবে। 

সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ উপন্যাস অবলম্বনে। অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, সিয়াম আহমেদ, পরীমণিসহ ছবিটির শিশুশিল্পরা।

নিজের গল্প থেকে চলচ্চিত্র হলেও এই ছবির মাধ্যমে  প্রথমবারের জন্য গান লিখেছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। সে বিষয়ের উল্লেখ করে লেখক বলেন, ‘আমরা লিখি। কিন্তু সিনেমায় সেটা দেখানো অনেক কঠিন। গানটা যখন লিখি, তখন জানতাম না এতো ভালো হবে। গানটার দৃশ্য ধারণ হওয়ার পর আমাকে দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন পরিচালক। আমার নাতি দেখে খুব পছন্দ করেছে। তখন বুঝলাম ভালোই হয়েছে গানটা।’

নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল বলেন, ‘সিনেমার শুটিং করতে করতে করোনা মহামারি শুরু হয়। সে সময় বাচ্চাগুলোর বাবা-মা আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন। বাচ্চারাও অনেক উৎসাহ দিয়েছে আমাকে। ‘অ্যাডভেঞ্চার অফ সুন্দরবন শিশুদের সুস্থ বিনোদনের জন্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র। সিনেমাটি সব বয়সীরাই দেখতে পারবেন। প্রত্যাশা করি সবাই সিনেমাটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে আসবেন।’

সন্ধ্যার ওই আয়োজনে হাজির ছিলেন  চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি খুব এক্সাইটেড। কারণ বাচ্চাদের আরেকটা সিনেমা আসবে। শিশুতোষ সিনেমা তো তেমন হয় না। আশা করছি সেই সিনেমাটিও অনেক ভালো করবে।২৬ বছর আগে জাফর ইকবালের গল্প থেকে সিনেমা বানিয়েছিলাম দিপু নম্বর টু। সেটা নাকি এখনও অনেকের ভালো লাগে। সেই ভালোলাগা ছাপিয়ে যাবে অ্যাডভেঞ্চার অফ সুন্দরবন, সেই আশা করছি।’

অনুষ্ঠানে সন্তান রাজ্যকে নিয়ে হাজির হোন পরীমণি।  সিয়াম কোলে নিয়ে আদর করেন রাজ্যকে।

সিনেমায় সিয়াম অভিনয় করছেন রাতুল চরিত্রে। তিনি বলেন, ‘করোনা থেকে অনেকেই যেমন ফিরে এসেছে, তেমনি সিনেমাটাও ফিরেছে। রাতুল চরিত্রটা আমার অনেক আগে থেকে জানা। সেই চরিত্রটা করতে পারব, এটা কোনোদিন ভাবিনি। সেটাই হলো এবং এটা স্বপ্ন পূরণের মতো। আমি সিয়াম আহমেদ হয়ে গিয়ে ছিলাম, শিশুরা আমাকে রাতুল ভাইয়া করে ঢাকায় পাঠিয়েছ।’

পরীমনি অভিনয় করেছেন তিশা চরিত্রে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি অনুষ্ঠানে। সিনেমাটাও দেখব। ও যখন বড় হবে, তখন দেখাব যে তোমার জন্য একটি উপহার এই সিনেমা। করোনার সময় মনে হয়েছিল, সিনেমাটা শেষ পর্যন্ত আসবে কিনা। এখন সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে, সেটাই বড় পাওয়া।’