- বিনোদন
- হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবি
পটিয়া পৌর মেয়রের ছেলের মৃত্যু
হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

উপজেলা পরিষদের সামনের মহাসড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় - সমকাল
করোনার টিকার অভাবে পটিয়া পৌর মেয়রের ছেলের মৃত্যুর জন্য পটিয়া হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দায়ী করে তার অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। পরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বুধবার আতিক শাহরিয়ার মাহির মৃত্যুবার্ষিকীতে বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলা পরিষদের সম্মুখে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও স্থানীয় জনসাধারণের ব্যানারে হাজারো মানুষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথের অপসারণ দাবি করে মহাসড়কে মানববন্ধন করেন।
পৌর কাউন্সিলর গোফরান রানার পরিচালনায় মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, ব্যবসায়ী নেতা ইউছুপসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতা।
বক্তারা বলেন, একজন মেধাবী ছাত্র ও মেয়রের ছেলেকে টিকা দিতে গড়িমসি ও সময়ক্ষেপণ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন পটিয়া হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মকর্তা সব্যসাচী। বক্তারা তার বিচার ও দ্রুত অপসারণ দাবি করেন। এ দাবি পূরণ না হলে তারা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল বলেন, তার ছেলে টিকার অভাবে মারা যায়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাব্যসাচীর গাফিলতির কারণে তার ছেলে করোনার টিকা নিতে পারেনি। এক বছর ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিচারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও করেছেন। কিন্তু দুর্নীতিবাজ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারছেন না। তার লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের বক্তব্যও নিয়েছে। কিন্তু এখনও তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেন পৌর মেয়র।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। গত বছরের ১৮ জানুয়ারি মাহি করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৯ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মন্তব্য করুন