- বিনোদন
- কারও তোষামোদি করতেন না সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ
স্মরণসভায় বক্তারা
কারও তোষামোদি করতেন না সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ

জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলতাফ মাহমুদ স্মরণসভা।
সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদ ছিলেন সৎমানুষ। সুযোগ থাকলেও তিনি কখনও সরকারি সুবিধা গ্রহণ করেননি। কারও তোষামোদিও করতেন না। সাংবাদিকতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে হলে তাঁকে ধারণ করতে হবে।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলতাফ মাহমুদ স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
এতে উপস্থিত ছিলেন যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল, সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালীন নোমানী, সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, বাংলা টিভির হেড অব নিউজ জাকারিয়া কাজল প্রমুখ। সেভ দ্য জার্নালিস্টস ও জার্নালিস্টস ভয়েস অব বাংলাদেশ আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক। সভা সঞ্চালনা করেন ডিইউজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম।
মোল্লা জালাল বলেন, শত সমস্যার মধ্যেও আলতাফ মাহমুদ ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল মানুষ। তিনি ছিলেন একটি চেতনার নাম। তাঁকে ব্যবহার করে অনেকে সুবিধা নিয়েছেন। তবে তাঁর দেখানো পথে এখনও অনেকে চলতে পারেন না।
আবু জাফর সূর্য বলেন, সাংবাদিকতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে হলে আলতাফ মাহমুদকে ধারণ করতে হবে। আকতার হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কাজ করতেন তিনি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশার বড় ক্ষমতা ছিল তাঁর। সাধারণ জীবনযাপন করতেন। ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। হেঁটে আর বাসে চলাচল করতেন; মন্ত্রীরা পর্যন্ত গাড়ি থামিয়ে নিতে চাইলেও উঠতেন না।
সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, জ্ঞাননির্ভর সাংবাদিকতার মাধ্যমে আলতাফ মাহমুদকে স্মরণ করতে হবে। ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ খাইরুজ্জামান খান কামাল বলেন, তিনি সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সব সময় সোচ্চার ছিলেন।
সাংবাদিক জাকারিয়া কাজল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে আরেকটা চেতনা আছে- সেটি সততার চেতনা। এ দুইয়ের মিশ্রণ ছিলেন আলতাফ মাহমুদ। সততার চেতনা এখন অনেকের মধ্যেই নেই। মুরসালীন নোমানী বলেন, আলতাফ মাহমুদ তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে সবার শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে আছেন। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সরকারি কোনো সুযোগ গ্রহণ করেননি।
কাজী রফিক বলেন, আলতাফ মাহমুদের ইউনিয়নের চরিত্র এখন আর নেই। দেশে সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে তাঁর ভূমিকা ছিল সর্বাগ্রে। তিনি কাউকে ছাড় দিয়ে কিংবা কাউকে তোষামোদ করে কথা বলতেন না।
মন্তব্য করুন