- বিনোদন
- মামলা প্রত্যাহার ও বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন মোস্তাকিমের
মামলা প্রত্যাহার ও বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন মোস্তাকিমের

সৈয়দ মো. মুনতাকিম প্রকাশ মোস্তাকিম
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিনের করা নির্যাতনের বিচার ও সাজানো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন ভিকটিম সৈয়দ মো. মুনতাকিম প্রকাশ মোস্তাকিম।
সোমবার দুপুরে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে মোস্তাকিম আবেদনপত্রটি পাঠান। একই আবেদনপত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার বরাবরও পাঠানো হয়েছে।
ভিকটিম মোস্তাকিম বলেন, ‘আমি আমার মাকে বাঁচাতে কিডনি ডায়ালাইসিসের ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলন করেছি। আমি কোনো সন্ত্রাসী বা গুন্ডা নই। অথচ পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন আমাকে বিনা কারণে ঘটনাস্থলে মেরেছেন। থানায় নিয়েও নির্যাতন করেছেন। সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এতে আমার সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছি।’ আমার আশা, প্রধানমন্ত্রী তার বিচার করবেন।
ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলতি মাসের শুরুতে চমেক হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনরা আন্দোলনে নামেন। কয়েকদিন ধরে চলা এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১০ জানুয়ারি বিক্ষোভকারীরা চমেকের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের সড়ক ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা দেন। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি নিজের মুঠোফোন বের করে বিক্ষোভকারীদের ভিডিও করেন এবং তাদের পরে দেখে নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। এরপর একযোগে সবাই ওসির বিরুদ্ধে হইচই শুরু করেন এবং ভিডিও ডিলিট করার দাবি জানান। এক পর্যায়ে ওসির মোবাইল মাটিতে পড়ে ভেঙে যায়। এরপর ওসি নাজিম মোস্তাকিমকে পেটাতে পেটাতে চমেকের প্রধান ফটকের বিপরীতে এপিক হাসপাতালে নিয়ে যান। পাশাপাশি অন্য পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
পরে পাঁচলাইশ থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এতে মোস্তকিমসহ অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকেও আসামি করা হয়।
মন্তব্য করুন