রাজশাহীর বাগমারায় মিথ্যা মামলা দিয়ে ৭০ বছর বয়সী সাবেক এক স্কুল শিক্ষককে জেল খাটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী এ টি এম তোজাম্মেল হক। তিনি উপজেলার চাপড়া মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক।

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি বাগমারার হাসনিপুর গ্রামে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া তাঁর পাঁচ শতাংশ জমি গণিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম স্থানীয় মাসুম কবিরের কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন বলে ভুয়া দলিল করেন। সেই ভুয়া দলিলের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে জমিটি কামরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়। এরপর শামসুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান মিলে জমিটি দখল করে নেন।

কাঁদতে কাঁদতে তোজাম্মেল হক বলেন, দখলকারীরা ওই জমিতে থাকা তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ নিয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি মামলা করেছিলেন তিনি। আদালত মামলা দুটি গ্রহণ করে ওই জমিতে প্রবেশে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাগমারা থানা পুলিশের সহযোগিতায় গত ১ জানুয়ারি দখলদাররা বাড়িঘর ভাঙচুর ও গাছাপালা কেটে জমিটি দখল করে নেয়। এরপর মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় গত ৭ জানুয়ারি তাঁকে গোপালপুর মোড় থেকে আটক করে নিয়ে যায় বাগমারা থানা পুলিশ। মামলায় তাঁর বয়স দেখানো হয় ৫৫ বছর। অথচ জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর বয়স ৭০ বছর। এই বয়সে ওই মামলায় তাঁকে ১০ দিন জেল খাটতে হয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে বাগমারা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়ে তোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করেছিলাম। তিনি শিক্ষক কিনা জানি না। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের নবনির্মিত ভবন ভেঙে ফেলা এবং তাদের কাছে নিজের জমি আছে উল্লেখ করে চাঁদা দাবির মামলা হয়। তারা অন্যায় করেছে এটা সত্য। পরে মামলার আইও আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আর মামলার বাদী বয়স কম দেখিয়েছেন বলে যে অভিযোগ এসেছে, তা তদন্ত করে সংশোধন করা হবে।