- বিনোদন
- গান-অভিনয় করছি না, মাছের খামার করছি: আগুন
গান-অভিনয় করছি না, মাছের খামার করছি: আগুন

কণ্ঠশিল্পী আগুন
কণ্ঠশিল্পী আগুন। ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্রের গান ‘বাবা বলে ছেলে নাম করবে’ এবং ‘ও আমার বন্ধু গো...’ দিয়ে তিনি ছড়িয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের সবখানে। গান ছাড়া অভিনয়েও নিয়মিত ছিলেন তিনি। কিন্তু এখন কিছুটা অনুপস্থিত। গতকাল ছিল তার জন্মদিন। বিশেষ এ দিনটিকে কেন্দ্র করে নানা বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে...
গতকাল ছিল আপনার জন্মদিন। দিনটি কেমন কাটল?
জন্মদিন কখনও ঘটা করে উদযাপন করিনি। তারপরও পারিবারিকভাবে স্ত্রী আর পুত্ররা যতটুকু পালন করে। পাশাপাশি এই দিনে অনেকেই ফোনে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অনেকেই বাসায় উপহার পাঠিয়েছেন। এবার জন্মদিন মানিকগঞ্জে কাটিয়েছি। প্রতিবছর এই দিনে নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। এবারও নতুন কাজ শুরু করেছি।
কী কাজ শুরু করলেন। বিস্তারিত বলবেন কী?
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি দিঘি করেছি। এখানে মাছ চাষ করব। নাম দিয়েছি 'ডিজিটাল দিঘি', যার চারপাড়ে লাগানো হয়েছে অনেক খেজুর গাছ। থাকছে ইলেকট্রিকের বেড়া আর সিসি ক্যামেরা। এখন থেকে আমার ঠিকানা হবে এটাই। সপ্তাহে একদিন এখানে এসে সময় কাটাব। খিচুড়ি রান্না হবে। গ্রামের লোক খাবে। মৎস্য খামারের পাশাপাশি আগামীতে এখানেই একটি ডেইরি ফার্মের পরিকল্পনা করছি।
গান-অভিনয় নিয়ে ব্যস্ততা কেমন...
গান-অভিনয় নয়, এখন মৎস্য খামার নিয়ে ব্যস্ততা বলতে পারেন। আগে কাজটি গুছিয়ে নিই। তারপর সব হবে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন গানের কাজ করেছি, যা এখনও শেষ হয়নি। কথা-সুর-সংগীত নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছেই। সম্প্রতি একটি তথ্যচিত্রের জন্য গানের পাশাপাশি সুর করেছি।
আপনার মা নীলুফার ইয়াসমীন, খালা সাবিনা ইয়াসমীন, বাবা খান আতাউর রহমান। আপনার জীবনে তাঁদের প্রভাব...
আমার জীবনে তাঁদের প্রভাব অনেক। কারণ, তাঁরা আমাকে সব সময় বলতেন- ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার নয়, তোমাকে ভালো মানুষ হতে হবে। তাঁদের সেই কথা এখনও আমি মেনে চলি। আমি চেষ্টা করি, যাতে আমার দ্বারা কারও অনিষ্ট না হয়। তারপরও আমার দ্বারা যে দু-একটা মানুষের অনিষ্ট হয়নি, তা বলতে পারব না। আমিও মানুষ।
তরুণ শিল্পীদের নিয়ে কাজ করছেন। তাদের প্রাধান্য দেওয়ার কারণ কী?
আমিও একসময় তরুণ ছিলাম। তখন কেউ না কেউ পাশে ছিল বলেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছি। তাই আমিও চাই, আমার হাত ধরে কিছু প্রতিভা উঠে আসুক।
মন্তব্য করুন