- বিনোদন
- সারাদেশে শিল্পকলার সিনেমা উৎসব
সারাদেশে শিল্পকলার সিনেমা উৎসব

'সবার জন্য চলচ্চিত্র, সবার জন্য শিল্পসংস্কৃতি'- এই স্লোগান নিয়ে আজ শুরু হচ্ছে 'তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩'। বিকেল ৫টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এই উৎসবের উদ্বোধন করা হবে।
দেশের ৬৪ জেলার দর্শকের জন্য সিনেমার এই উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। উৎসব কমিটির সদস্যরা জানান, সিনেমা হল সংকটের কারণে অনেকেই দেশীয় ছবিগুলো দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না। সেইসব সিনেমাপ্রেমী দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ এবং দেশীয় চলচ্চিত্রে কতটা বাঁকবদল হয়েছে, তা সবার কাছে তুলে ধরতে এই উৎসবের উদ্যোগ নেওয়া। সব শ্রেণির দর্শকের জন্য উৎসব উন্মুক্ত। শুধু নিবন্ধনের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি শিল্পকলা একাডেমিতে দর্শক উৎসবের ছবি দেখার সুযোগ পাবেন।
আয়োজকরা বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এরই ধারাবাহিকতায় 'তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩'-এর আয়োজন। চলচ্চিত্র উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রদর্শিত হবে উৎসবের প্রথম ছবি 'লাল মোরগের ঝুঁটি'।
এটি ৬৪ জেলার প্রতিটি শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে একযোগে প্রদর্শিত হবে। ২০২১ সালের শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া 'লাল মোরগের ঝুঁটি' পরিচালনা করেছেন নুরুল আলম আতিক। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল, ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, স্বাগতা, জয়রাজ প্রমুখ। উৎসবের শেষ দিন ৩ মার্চ প্রদর্শিত হবে 'লাল মোরগের ঝুঁটি'র সঙ্গে যৌথভাবে সেরা ছবির স্বীকৃতি পাওয়া চলচ্চিত্র 'নোনা জলের কাব্য'। ১৫ দিনব্যাপী আয়োজিত এই উৎসবে আরও দেখানো হবে দর্শক প্রশংসিত ছবি 'আসিয়া', 'জন্মভূমি', 'দামাল', 'শ্যামল ছায়া', 'ফাগুন হাওয়ায়', 'পাপ পুণ্য', 'বিউটি সার্কাস', 'রাত জাগা ফুল', 'শিমু', 'আলফা', 'নয়নমণি', 'বেহুলা', 'ধীরে বহে মেঘনা', 'মুজিব আমার পিতা', 'কমলা রকেট'সহ আরও বেশ কিছু ছবি। উৎসবে আগামীকাল শনিবার ও ২ মার্চ ঢাকায় বিশেষ প্রদর্শনী রাখা হয়েছে। জাতীয় নাট্যশালায় এ দুই দিন থাকছে 'কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া', 'হাওয়া', 'হাসিনা :এ ডটারস টেল', 'কালবেলা' ও 'সাঁতাও' ছবির প্রদর্শনী।
এ ছাড়া পুরো উৎসবে থাকছে চলচ্চিত্রবিষয়ক মাস্টারক্লাস, মতবিনিময় সভা, চলচ্চিত্র আড্ডা, বিষয়ভিত্তিক প্যানেল আলোচনা, চলচ্চিত্র নিয়ে মুক্ত আলোচনাসহ আরও কিছু আয়োজন। শেষ দিন সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ। সব মিলিয়ে এই উৎসব সিনেমাপ্রেমীদের তৃষ্ণা মেটাবে বলেই মত পোষণ করেছেন চলচ্চিত্র-সংশ্নিষ্টরা।
মন্তব্য করুন