ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন মো. মামুন। পাঠদানের ফাঁকে সে গোপনে মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন অংশের আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে। পরে সেই ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তোলে আরও কিছু ছবি। একপর্যায়ে সে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। মেয়েটি সাড়া না দেওয়ায় ছবিগুলো তার মাকে পাঠিয়ে দেয় গৃহশিক্ষক। ছবি ‘ভাইরাল’ করার ভয় দেখিয়ে সে মেয়ের মাকেও কুপ্রস্তাব দেয়। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন মা-মেয়ে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মেয়েটিকে জিম্মি করে মোবাইল ফোনে বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি তোলা হলেও ভয়ে সে পরিবারের কাউকে বিষয়টি জানায়নি। পরে অষ্টম শ্রেণিতে পাড়ার সময় তার পরীক্ষার ফল খারাপ হলে স্বজনরা অসন্তুষ্ট হন। তারা গৃহশিক্ষক মামুনকে ছাড়িয়ে দেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আগে ধারণ করা ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। এতে কাজ না হওয়ায় সে মেয়েটির পরিবারের ছবি ব্যবহার করে তার মায়ের নামে ফেসবুকে একটি ভুয়া আইডি খোলে। ওই আইডি থেকে মেসেঞ্জারে মেয়েটির মাকে কুপ্রস্তাব দেয় মামুন। তিনিও সাড়া না দেওয়ায় সে মেসেঞ্জারে ছাত্রীর গোপন ছবি পাঠিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেয়। সে বারবার অশালীন ও পর্ন ছবি পাঠাতেই থাকে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীরা সিআইডির সাইবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়।

সিআইডি জানায়, সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সার্বিক তত্বাবধানে সাইবার পুলিশের একটি দল এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত মামুনের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। শেষে শুক্রবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এ সময় তার কাছে ছবি তোলায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।