ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকে কারণ দর্শনো নোটিশ দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

গত সোমবার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকা মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়।

আসন্ন ১৬ মার্চ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় কেন দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার ছিল ওই নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য শেষ দিন।

ওই নোটিশে বলা হয়, আগামী ১৬ মার্চ সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অনেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। বেশ কয়কেবার নিজেদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে দল মনোনীত প্রার্থীর জন্য কাজ করার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের ওই নির্দেশনা না মেনে আপনারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তাই সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা অনুযায়ী আপনাকে কেন দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী ৮ মার্চের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হইল। অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দলীয় প্রার্থীর বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এসব নেতারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলিয়াবাদ ইউনিয়নের আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কানাইপুর ইউনিয়নের ফকির মো. বেলায়েত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাচ্চর ইউনিয়নের জাহিদ মুন্সী, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্‌বায়ক ডিক্রীরচর ইউনিয়নের মেহেদী হাসান, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল জলিল মল্লিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুস সোবহান মোল্যা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উজ্জল সরকার, গেরদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মাকসুদ আলী, চরমাধবদিয়া ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. মাইনউদ্দিন মোল্লা ও যুবলীগের সদস্য সাহিদ হাসান, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কামাল হোসেন।