- বিনোদন
- 'আর খেইলেন না, জনগণকে জিম্মি কইরা রাইখেন না'
'আর খেইলেন না, জনগণকে জিম্মি কইরা রাইখেন না'

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় শুক্রবার বিকেলে বক্তব্য দেন সিপিবি সভাপতি শাহ্ আলম - সমকাল
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘খেলা হবে’ স্লোগানের কঠোর সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ্ আলম। তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খেলা হবে।’ আমরা বলি, ‘আর খেইলেন না। জনগণকে জিম্মি কইরা রাইখেন না।”
দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। শুক্রবার বিকেলের সমাবেশে শাহ্ আলম অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি বারবার ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় নাই। এরা দেশের পাঁচ ভাগ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে। আর ৯৫ ভাগ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে কমিউনিস্ট পার্টি ও বামেরা।’ জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য দল দু’টির খেলাকে ভেঙে দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রশাসনিক কারসাজি থেকে নির্বাচনকে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ভোটচোরদের রাজত্ব চলছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ক্ষমতার কামড়াকামড়িতে লিপ্ত। এদের কামড়াকামড়ির জন্য ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনদের আসার পথ আবার পরিষ্কার হচ্ছে। এদের কামড়াকামড়ির জন্যই আন্তর্জাতিক সালিশকারীরা আসে বিচার করতে।
কিছু লোকের বিলাসবহুল জীবন ও বাকিদের মানবেতর জীবনের উদাহরণ দিয়ে শাহ্ আলম বলেন, দেশে এখন দুই ধরনের অর্থনীতি চলছে। কিছু লোক আছে যারা শেরাটন, সোনারগাঁয়ে খাবার খায়, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করতে যায়। আর কিছু লোক ছোট ছোট ঘরে ঘুমায়, খাবার কেনা নিয়ে টেনশনে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘দশ হাজার টাকা যারা বেতন পেতেন, তাঁদের টাকার দাম এখন পাঁচ হাজার টাকা হয়ে গেছে। মানুষের দুর্দশা তাঁদের চোখে পড়ছে না।’ চোর-খুনিরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলেই নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যার বিচার হয় না বলেও মন্তব্য করেন শাহ্ আলম।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিকর দলের (বাসদ) জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল হাই শরিফ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন