- বিনোদন
- স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে ডিজিটাল ও কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই
স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে ডিজিটাল ও কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই
আইসিএবি সম্মেলন ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তারা

শনিবার হােটেল শেরাটন ঢাকায় অনুষ্ঠিত আইসিএবির সম্মেলন ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অতিথিরা
এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এবং স্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সবার আগে সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মক্ষম মানুষকে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত করতে শুধু প্রথাগত শিক্ষা নয়, বেশি করে কারিগরি স্কুল স্থাপন, ডিজিটাল শিক্ষা, আইটি কাঠামোর উন্নয়ন এবং সরকারের রাজস্ব আদায় ও ব্যবহার নীতিতে সংস্কার এবং ডিজিটাল ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার পেশাদার সিএদের শিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন আইসিএবির সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে সিএদের ভূমিকা’ শীর্ষক সম্মেলনের নানা কর্ম অধিবেশনে বক্তারা এ অভিমত দেন। রাজধানীর হোটেল শেরাটন ঢাকায় সিএদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাবেক মুখ্য সচিব ও ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বিশেষ দূত মো. আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিকাশের সিইও কামাল কাদির। বক্তব্য দেন আইসিএবি সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি এমবিএম লুৎফুল হাদী এবং আইসিএবি সিইও শুভাশীষ বসু।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইসিএবি সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি এমবিএম লুৎফুল হাদী এবং আইসিএবি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ বসু । বিভিন্ন অধিবেশন সঞ্চালনা করেন আইসিএবির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির।
সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি শিল্প ও কর প্রশাসনে ডিজিটালাইজেশন, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, কাগজবিহীন অফিস এবং বিগ ডাটা সুরক্ষা, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। নীতি সংস্কার ছাড়াও বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের অর্থায়নে বন্ড চালু করারও প্রস্তাব করেন তাঁরা।
বক্তারা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের লক্ষ্য স্মার্ট সরকার, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি গড়া। এর সবক’টিকে এমন সুসংগতভাবে চলতে হবে যাতে দেশ সমৃদ্ধিশালী হয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়।
বক্তারা আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ একটি সামগ্রিক ধারণা। এ কারণে এটিকে শুধু ডিজিটাল স্পেসের মধ্যে সংজ্ঞায়িত করা ঠিক হবে না। সব নাগরিকের জন্য শতভাগ ডিজিটাল ব্যবহার নিশ্চিত, শতভাগ কাগজবিহীন সরকার ব্যবস্থা, সমাজের জন্য ডিজিটাল সহনশীলতা এবং অর্থনীতির জন্য আইসিটি শিল্পের বিকাশ দরকার। এসব লক্ষ্য অর্জনে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা সরকারকে সহায়তা করতে পারে।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি অর্জনের পথ সহজ করার জন্য বিভিন্ন নীতি সংস্কার করা দরকার। বিশেষত কর ব্যবস্থা, বিদেশি বিনিয়োগ, শিক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, ডাটা শেয়ারিং, রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ, সহজে ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যাচিভিং এ ট্রিলিয়ন-ডলার প্লাস ইকোনমি’ শীর্ষক একটি কর্ম অধিবেশনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, নীতিনির্ধারকদের কাছে উন্নয়নের একটি টেকসই কৌশল থাকা উচিত, যা সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলাসহ শিল্প উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন