কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকদের প্রায় ১৫ কোটি টাকা নিয়ে এজেন্টের উধাও হওয়ার বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। টাকা উদ্ধার করে গ্রাহকদের ফিরিয়ে দিতে চান তাঁরা। 

এজেন্ট ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ এরিয়া ম্যানেজার ফরিদ হোসেনসহ কয়েকজন সোমবার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছেন। পুলিশ সুপার তাঁদের জানিয়েছেন এ বিষয়ে আইনগত দিক খতিয়ে দেখবেন।

গত ১২ মার্চ হোসেনপুরের বোর্ডবাজারের ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় তালা ঝুলিয়ে এজেন্ট আলমগীর হোসেন, তাঁর অংশীদার মানিক মিয়া এবং শাখার ব্যবস্থাপক রিটন মিয়া আত্মগোপন করেন। আলমগীর এলাকার মানুষকে ডিপিএসের মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখে এক হাজার টাকা মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিন শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা নিয়েছেন।

ফরিদ হোসেন সমকালকে জানান, তিনি গত শনিবার জিনারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামকে নিয়ে এজেন্ট আলমগীরের স্ত্রী খালেদা পারভীনের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁকে বলেছেন আলমগীরের কাছ থেকে টাকা আদায় করে গ্রাহকদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। এ সময় খালেদা পারভীন একটি খাতার হিসাব দেখিয়ে বলেছেন, এতে ১০৭ জন গ্রাহকের নাম রয়েছে। চার কোটি টাকা জমা করার হিসাব পাওয়া গেছে। ব্যাংকের এজেন্ট অফিস নিয়মিত পরিদর্শন করে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেন কিনা– এ প্রশ্নের জবাবে ফরিদ হোসেন বলেন, ‘এসব গ্রাহকের ব্যক্তিগত গোপনীয় বিষয়। এ কারণে আমরা তাঁদের টাকার বিষয়ে কথা বলি না।’  

এদিকে হোসেনপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু জানিয়েছেন, গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় হোসেনপুর থানার উদ্যোগে জিডি করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার তিনি জিডির কপি কিশোরগঞ্জ দুদক কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন। দুদকের নির্দেশনা পেলে বিষয়টি নিয়ে মাঠে নামবেন।