- বিনোদন
- গভীর সমুদ্রে ভাসে নাবিক মারুফের গান
গভীর সমুদ্রে ভাসে নাবিক মারুফের গান
চারপাশে যেদিকে চোখ যায়, কেবল বিস্তৃত জলরাশি। সমুদ্রে এমন জল থৈথৈ পরিবেশ দেখতে বর্ষাকালের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। সমুদ্রে ১২ মাস বর্ষাকাল। তবে একেক সময়ে সমুদ্রের একেক রূপ দেখা যায়। আকাশের সঙ্গে সমুদ্রের আছে নিবিড় সখ্যতা- এসব দেখতে দেখতেই কণ্ঠে গান তোলেন জাহাজের সেকেন্ড অফিসার আব্দুল্লাহিল মারুফ।
নাবিক হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৫টির বেশি দেশে গেছেন মারুফ। সমুদ্রেই কেটেছে তার জীবনের প্রায় পাঁচ বছর। গভীর সমুদ্রের নীল জলরাশিতে ভাসতে ভাসতে গান করেন মারুফ। ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘আহারে জীবন’, ‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহভরা কোলে তব’, ‘দিন যায়, কথা থাকে’, ‘ওকি একবার আসিয়া সোনার চান্দ মোর যাও দেখিয়া রে’, ‘কি নামে ডেকে বলব তোমাকে’, ‘প্রেমে পড়া বারণ’, ‘যদি হিমালয় হয়ে’- এমন সব জনপ্রিয় গান যেন তার কন্ঠ থেকে সমুদ্রে মিশে যায়, ছড়িয়ে যায় লাখ লাখ শ্রোতার মাঝে।
মারুফের জন্ম রাজশাহীর মতিহার থানার মৌলভী বুধপাড়ায়। নাবিক হওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না তার। ভর্তি হয়েছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল (আইসিই) বিভাগে। কিন্তু এক বছরের মাথায় সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন। হয়ে উঠেন নাবিক। হংকংভিত্তিক একটি অয়েল ট্যাংকারে ‘সেকেন্ড অফিসার’ হিসেবে কর্মরত মারুফ। তার জাহাজের বর্তমান অবস্থান বোহাই উপসাগর।
ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি দুর্বলতা মারুফের। তবে গান নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই তার। শুনে শুনে গান রপ্ত করেন। তার কন্ঠে সৃষ্টিকর্তা যেন একটা মায়া দিয়েছেন, যেই মায়া সবাইকে মোহিত করে। মারুফ বলেন, পরিবার আত্মীয় পরিজন থেকে বহু দূরে, সমুদ্রে ভেসে চলা জীবনে গানই আমার মধ্যে প্রাণসঞ্চার করে।’
মন্তব্য করুন